আল্লাহ তাআলা নিজেই যদি কারও কপালে সফলতার রাজটিক লাগিয়ে দিতে চান, তবে তাকে অসফল করার সাধ্য কার? আল্লাহ তাআলা যদি কাউকে প্রকাশ করতে চান, তবে তাকে ঢেকে রাখার সামর্থ্য কার? একদিন হিন্দুস্তানের এক মাদ্রাসার সংকির্ণ চৌহদ্দিই ছিল যার যাবতীয় কর্মকাণ্ডের সীমারেখা, আজ তার সবগুলি ছাঁপিয়ে উঠে গােটা পৃথিবীর মঞ্চে তিনি বরেণ্য, আলােচিত ও সমাদৃত। আজ তাঁর পরিচয় কালজয়ী সীরাতগ্রন্থ “আর রাহীকুল মাখতুম’ প্রণেতা শাইখ সফিউর রহমান মুবারকপূরী রহসীরাতে রাসূলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইতিহাসে আর রাহীকুল মাখতুম’ কি যে এক বিস্ময়কর আন্দোলন ও আলােড়নের ঢেউ তুলেছিল তার সঙ্গে আজ কাউকেই আর নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার প্রয়ােজন নেই। বস্তুত এটা ছিল বিশ্ব সীরাত ভাণ্ডারে বর্তমান সময়ের এক অনুপম ও অনবদ্য সংযােজনা। আর এ ক্ষেত্রে সকল কৃতজ্ঞতার উপযুক্ত মালিক হলেন মহান আল্লাহ তাআলা। গ্রন্থকার মাওলানা সফিউর রহমান মুবারকপুরী রহ. জন্ম গ্রহণ করেছিলেন ১৯৪৩ সনের ৬ জুন ভারতের উত্তর প্রদেশের মুবারকপূরের হুসাইনাবাদ নামক গ্রামে। কথিত আছে, তিনি ছিলেন ছাহাবী আবু আইয়ুব আনসারী রা. এর বংশধর।আপন পল্লী গাঁয়ে কুরআনে কারীমের মাধ্যমে তার শিক্ষা জীবনের অভিষেক হয়েছিল। পরবর্তীতে এক সুদীর্ঘ কাল পরে ১৯৭৬ সনে আরবি সাহিত্যে সর্বোচ্চ ডিগ্রী লাভ করার মধ্য দিয়ে উপসংহার টেনেছিলেন।এরই মাঝে ১৯৭৬ সনের মার্চ মাসে রাবেতায়ে আলমে ইসলামীর উদ্দ্যোগে আয়ােজিত আন্তর্জাতিক সীরাত প্রতিযােগিতায় ‘আর রাহীকুল মাখতুম নিয়ে তিনি বিশ্বের নাট্য মঞ্চে আবির্ভূত হন। এরপর জীবনে আর তাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। দাওয়াত, তাবলীগ ও তাসনীফাতের মধ্য দিয়ে খুব দ্রুতই অতিক্রম করে গিয়েছেন জীবনের প্রতিটি মনযিল । আরবি ও উর্দু ভাষায় তাঁর রচিত গ্রন্থ। সংখ্যা ত্রিশাের্ধ্ব। কর্মজীবনে তিনি মদীনা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা ও সর্বশেষ