মোদ্দাকথা হলো, প্রথম জরুরি বিষয় হলো নিয়ত বা ইরাদা। তবে ততটুকু জরুরি বিষয় হলো, দ্বীনের প্রকৃত দায়-দায়িত্বের সঠিক রূপরেখা সামনে থাকা। যদি দায়িত্বের রূপরেখা সীমিত বা অপূর্ণাঙ্গ থাকে, তাহলে যে বিষয়গুলো জানা আছে, সেটার আমল তো হবে। কিন্তু যে বিষয়গুলো তার জানাশোনাই নেই, সে বিষয়গুলো ইরাদা থাকা সত্ত্বেও আমল করতে পারবে না। এই কারণে আমি এখানে সুস্পষ্টভাবে আলোচনা করতে চাই যে, দ্বীনি দায়িত্ব ও কর্তব্যের সঠিক ও সামগ্রিক রূপরেখা কী। যাতে সমগ্র দ্বীনের পূর্ণাঙ্গ একটি নকশা আমাদের সামনে বিদ্যমান থাকে এবং সঠিকভাবে আমরা নিজেদের হিসাবটা বুঝে নিতে পারি যে, আমরা দ্বীনের কোন বিষয়গুলোর আমল করছি আর কোন বিষয়গুলোর আমল করছি না। এমন তো নয় যে, আমরা দ্বীনের যে বিষয়গুলো ছেড়ে দিয়েছি, সে বিষয়গুলো দ্বীনি দৃষ্টিকোণ থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ! এমন তো নয় যে, আমরা মগজবিহীন মাথার খোল নিয়ে পড়ে আছি! আপনারা হয়তো এই গল্পটা শুনে থাকবেন যে, প্রথম প্রথম ইউরোপে যখন চা গেল, তখন তারা চা গরম করে পানিটা ফেলে দিয়ে শুধু চা-পাতাটাই খেত। তো আমাদের অবস্থা এমন নয়তো যে, দ্বীনের আসল দায়-দায়িত্বগুলো আমাদের দৃষ্টির আড়ালে চলে গেছে আর আমরা এই ভুল ধারণার শিকার হয়ে পড়েছি যে, আমরা দ্বীনদার এবং পূর্ণাঙ্গ দ্বীনের ওপর আমলকারী। এই ভুল ধারণার অপনোদন হবে যদি আমাদের সামনে দ্বীনি দায়িত্বসমূহের সামগ্রিক রূপরেখা বিদ্যমান থাকে।