নিভৃতে বাস করে ব্যস্ত শহর থাকে বহু দূরে। নির্জনে খুঁজে পায় তাঁর আপন অস্তিত্ব। জীবন কাটে নস্টালজিক ভালোবাসায়। সময় কাটে বিচিত্র অভিজ্ঞতায়। অদ্ভুত রহস্য তাঁর পিছু ছাড়ে না কখনো। সেই রহস্য সমাধান তাকে নিয়ে যায় আরও বিচিত্র জগতে। নিঃসঙ্গতা, নস্টালজিক প্রেম আর মনস্তাত্বিক রহস্য নিয়ইে এগিয়ে চলে নিভৃতের খেয়ালি জীবন।কিন্তু এই জীবনের রহস্য কী? কী আছে নিভৃতের অতীতে?নিভৃতে সিরিজ এর তৃতীয় উপন্যাস এবং কবিতা। উপন্যাস আর কাব্যে আরও একবার ঘুরে আসুন নিভৃতের নিভৃত জীবনে।
কিছু অংশ: দুটো প্রেম করতে হবে। তবে দুটোই হতে হবে ব্যর্থ প্রেম। প্রথম প্রেমে তুই কষ্ট দিবি। পরেরটাতে নিজে কষ্ট পাবি। প্রথমটা তোকে দিবে অপরাধবোধ, সাথে প্রেমে তুই কতখানি সৎ ছিলি তার উপর নির্ভর করে কিছু পাপবোধ। আর দ্বিতীয় প্রেমে পাবি মন ভাঙার কষ্ট। মাথার ভিতরে দেখবি তখন কবিতা গিজিগিজ করছে। বুঝেছিস আমার কথা?’‘মানুষ একা থাকতে পারে না। যে মানুষটা চুপচাপ নিরিবিলি থাকতে ভলোবাসে, সেও এক সময় হাঁপিয়ে উঠে। মানুষের সঙ্গ পাওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠে। কোনো একটা অবলম্বন খুঁজে বের করে।’‘মানুষ নিজেই তাঁর সবচেয়ে ভালো বন্ধু। জীবনে অন্য মানুষের দরকার নেই। অধিকাংশ মানুষই এই সহজ ব্যাপারটা বুঝে না।’‘কবি হবার দ্বিতীয় শর্ত হলো কোনোভাবেই সুখে থাকা যাবে না। মানুষের সহজাত স্বভাব হচ্ছে সে সুখে থাকতে চায়। এজন্য সুখের স্মৃতি চট করে মনে পড়ে। দু:খের স্মৃতি মনে পড়ে না। দু:খের স্মৃতি মনে রাখে শুধু প্রতিষ্ঠিত মানুষেরা। কিন্তু তার ভিতর কোনো দু:খবোধ থাকে না। সে সবাইকে শোনাতে চায় দ্যাখো, আমি জীবনে কত কষ্ট করেছি অথচ আজ আমি সফল। দু:খ তখন আর দু:খ থাকে না, অহংকার হয়ে যায়।’‘নারী পুরুষে কোনো দিন বন্ধুত্ব হয় না। অবদমিত কামনা থাকেই। কামনা অবদমিত থাকতে থাকতেই তাদের আলাদা হয়ে যেতে হয়। কিংবা কামনা জেগে উঠতে চাইলেই কিছু সমযের জন্য দূরে চলে যেতে হয়। দূরে না গেলে তারা প্রেমে পড়ে। সমস্যা দুটো। প্রথমত, দুজনের একজন আগে প্রেমে পড়ে। আরেকজন পড়ে দেরিতে। আর ছেলেবেলার বন্ধুত্বে পুরো ব্যাপারটা বুঝতেও বেশ সময় লাগে। মনের ভিতর প্রেমের জটিল পক্রিয়া চলতে থাকে কিন্তু মনে হয়ে যেন খুব স্বাভাবিক। অনেক কঠিন কথাই বলে ফেলি কিন্তু মনে হয় যেন তেমন কিছু তো বলিনি। কথাটার মর্ম বুঝতে অনেক সময় লাগে। বিশেষ করে ছেলেদের। মেয়েদের চেয়ে ছেলেরা বড় হয় দেরিতে। সম্পর্কের জটিলতা বুঝতে তাঁদের দীর্ঘ সময় লাগে।’‘সব কবিদের দুজনের সাথে কথা বলতে হয়। নিজের সাথে আর আর অন্য কোনো চরিত্রের সাথে। এই যেমন সুনীলের নিখিলেশ আর নীরা।’