একোন ধর্মের বিশেষত্ব ও সত্যতার সম্পূর্ণ উপলব্ধি করিতে হইলে, সেই ধর্মের প্রবর্তক যিনি, সর্বপ্রথমে তাঁহাকে সম্যরূপে চিনিয়া ও বুঝিয়া লইতে হয়। কতকগুলি বিশ্বাস, কতকগুলি অনুষ্ঠান এবং কতকগুলি বিষয়ের জ্ঞান- এই ত্রিধারার একত্র সামবেশ-ফলের নামই- ‘ধর্ম। আমরা মােছলেম এবং আমাদের ধর্মের নাম- এছলাম। এছলামের বিষয় সম্যকরূপে অবগত হইতে হইলে এছলামের সত্যতা ও বিশেষত্বে বিশ্বাস স্থাপন করিতে হইলে, সর্বপ্রথমে হযরত মােহাম্মদ মােস্তফা (স)-এর চরিত্রের মাহাত্ম্য ও বৈশিষ্ট্যগুলিকে সম্যকরূপে জ্ঞাত হইতে- অন্তত: জ্ঞাত হইবার চেষ্টা করিতে হইবে। ঐতিহাসিক হিসাবে (ভক্তের হিসাবে নহে) জগতের সাধুসজ্জন ও মহাপুরষগণের জীবন ও চরিত্র আলােচনার চেষ্টা করিলে প্রায়ই দেখিতে পাওয়া যায় যে, কিংবদন্তিসঙ্কলক ঐতিহাসিক এবং অন্ধ ভক্তগণের দ্বারা তাঁহাদের প্রকৃত জীবন ও জীবনের আদর্শস্থানীয় আসল বিষয়গুলি হয়ত একেবারে ঢাকা পড়িয়া গিয়াছে, অথবা এমন পর্বত পরিমাণ কুসংস্কার ও অন্ধবিশ্বাসের আবর্জনারাশির তলে তাহা চাপা পড়িয়া গিয়াছে- যাহার উদ্ধার একেবারে অসাধ্য না হইলেও সহজসাধ্যও নহে।বইটিতে মোস্তফা চরিতের বিভিন্ন উপায় বা সূত্র, বিভিন্ন হাদিছের বর্ননা, অন্যান্য ধর্মসমূহের তূলনা করা হয়েছে।