সকল প্রশংসা আল্লাহ তা'আলার জন্য, যিনি প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুসরণের নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, “অবশ্যই তোমাদের জন্য রাসূলুল্লাহর মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ তাদের জন্য যারা আল্লাহ ও পরকাল প্রত্যাশা করে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে।” [সূরা আল-আহযাব, আয়াত: ২১] প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দৈনন্দিন সুন্নাতগুলাে এক মলাটে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় আমাদের ভেতরে কাজ করেছে। প্রথমত প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দৈনন্দিন জীবন-আদর্শ যথাযথভাবে পাঠকের সামনে তুলে ধরা যেটাকে পশ্চিমা দুনিয়া বিকৃত করার অপচেষ্টা চালিয়েছে। দ্বিতীয়ত নফল হওয়ার দোহাই দিয়ে মুসলিম উম্মাহ’র এসব সুন্নাত পালনে উদাসীনতা ও শিথীলতাও আমাদের এ পরিকল্লনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে। কারণ এগুলাে ছেড়ে দেয়ার মাধ্যমে উম্মাহ বড় ধরনের কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হয়েছে এবং হচ্ছে। তাই সময় থাকতে আমাদের উচিত বিশুদ্ধ ইবাদাত করা, বিশুদ্ধ যিকির এর চর্চা করা এবং কুরআন ও বিশুদ্ধ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত সুন্নাহ’র ওপর আমল করা। অত্যন্ত খুশির বিষয় যে, এ কাজটি যথাযথ আঞ্জাম দেয়ার জন্য আমাদের জন্য শাইখ ড. আব্দুল্লাহ আল-হামূদ আল-ফুরাইহ একটি গ্রন্থ রচনা করেছেন, যার নাম দিয়েছেন তিনি ‘আল-মিনাহুল আলিয়্যাহ ফী বায়ানিস সুনানিল ইয়াওমিয়্যাহ’ বা ‘রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের দৈনন্দিন সুন্নাত ও যিকির। গ্রন্থটিতে তিনি কুরআনে কারীম ও সহীহ হাদীসের আলােকে আমাদের জন্য দৈনন্দিন কাজগুলাে ধারাবাহিকভাবে একত্র করে দিয়েছেন, যার ওপর আমল করলে একজন মানুষ সবচেয়ে বেশি যিকিরকারী ও সুন্নাহ’র ওপর আমলকারী বিবেচিত হবেন, আর ইনশাআল্লাহ আখেরাতের সর্বোচ্চ স্থানগুলাের কোনােটিতে নিজের জায়গা করে নিতে পারবেন।