বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটি রাসুল সা. ও খুলাফায়ে রাশিদিনের শাসনামলের একটি পর্যালোচনা। এতে হাসান রা.-এর পূর্ণ জীবনবৃত্তান্ত আলোচনার চেষ্টা করা হয়েছে।ফাতিমা রা.-এর সঙ্গে আবু বকর রা.-এর সম্পর্ক, রাসুলের মিরাস, ফাতিমার মৃত্যু, হাসানের মর্যাদা, তাঁর সম্পর্কে রাসুলের ভবিষ্যদ্বাণী; তাঁর মাধ্যমে বিবদমান দুটি দলের মধ্যে মীমাংসার বিষয় নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে।উল্লেখ করা হয়েছে তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব, তাঁর ওপর পারিবারিক শিক্ষার প্রভাব, খুলাফায়ে রাশিদিনের যুগে তাঁর জীবনধারা, আলির শাহাদাত ও হাসান-হুসাইনের প্রতি পিতার অসিয়ত, পিতার শাহাদাতের পর তাঁর বক্তব্য, মুআবিয়া রা.-এর নিকট আলির মৃত্যুসংবাদ, তাঁর হাতে লোকজনের বায়আত, বায়আতের শর্ত, তাঁর খিলাফতের ব্যাপারে নসের ভুল ব্যবহার, খলিফা নির্বাচন, খিলাফতের মেয়াদ ও খিলাফত সম্পর্কে আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআতের মতাদর্শ।তুলে ধরা হয়েছে হাসান রা.-এর খুলাফায়ে রাশিদার অন্তর্ভুক্তি বিষয়ে আলিমদের বক্তব্য। খণ্ডন করা হয়েছে তাঁকে জড়িয়ে বলা কিছু ভুল বক্তব্য, ইতিহাসের কিছু বানোয়াট কাহিনি। উল্লেখ করা হয়েছে তাঁর ব্যাপারে মহান ব্যক্তিদের অভিমত। মুআবিয়া রা.-এর সঙ্গে হাসানের সন্ধি-বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা ছাড়াও সন্ধির পর তাঁর ও মুআবিয়ার সম্পর্ক কেমন ছিল, তারও আলোচনা করা হয়েছে। কিছু কিছু গ্রন্থে মুআবিয়ার প্রতি অপবাদ আরোপ করা হয়েছে, সেসবও খণ্ডন করা হয়েছে। হাসানের শেষজীবন, হুসাইনের জন্য তাঁর অসিয়ত, আল্লাহর সৃষ্টিজগৎ সম্পর্কে তাঁর চিন্তাভাবনা, শাহাদাত লাভ এবং জান্নাতুল বাকিতে তাঁর দাফন হওয়া সম্পর্কেও আলোকপাত করা হয়েছে। হাসানের জীবনী থেকে শিক্ষাগ্রহণকারীর সংখ্যা সমাজে একেবারেই অপ্রতুল। আমরা হাসানের কর্মপন্থা দেখে আশ্চর্য হই; অথচ সেখান থেকে শিক্ষা নিই না। তাঁর জীবনী উম্মাহর জন্য জীবন্ত শিক্ষা। তিনি সে-সকল মহান ইমামের অন্তর্ভুক্ত, যাঁদের কথা, কাজ ও জীবনী থেকে উম্মাহ শিক্ষা নিতে পারে এবং নিজেদের জীবন তাঁদের আদলে ঢেলে সাজাতে পারে।