খিলাফতের পতাকা যখন পুরো পৃথিবীকে আলোকিত ও আলোড়িত করে যাচ্ছিল, ইউরোপীয়রা তখন ক্রুসেডের নামে বিশ্বমানবতার ওপর ধ্বংসযজ্ঞের মহড়া চালায়; এরই মোকাবিলায় উম্মাহ জেগে ওঠে, কালিমার পতাকা হাতে ঘুরে দাঁড়ায়, জিহাদি চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে দখলদার শত্রুর শেষ চিহ্নটুকুও মুছে দেয়।ক্রুসেডবিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্বের বাগডোর হাতে নেন ইমামুদ্দিন জিনকি, নুরুদ্দিন জিনকি ও সালাহুদ্দিন আইয়ুবি; সঙ্গে ছিলেন ইতিহাসের কিংবদন্তি—আবদুল কাদির জিলানি, ইবনু আসাকির আর ইবনু আসরুন; তাঁদের সমন্বিত প্রচেষ্টায় জিহাদি আন্দোলন, সুফি আন্দোলন, বুদ্ধিবৃত্তিক সংগ্রাম ও উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ করার মাধ্যমে জিনকিরা ইতিহাসে বিশেষ স্থান দখল করেন। ফলে জিনকিদের ইতিহাস হয়ে ওঠে ক্রুসেডের ইতিহাস।ক্রুসেডের ইতিহাস বুঝতে হলে জিনকিদের উত্থান, নেতৃত্ব ও শাসনকে বুঝতে হবে; বুঝতে হবে জিহাদি চেতনায় জিনকিদের দুর্নিবার ছুটে চলার ফল-প্রতিক্রিয়া। বিশুদ্ধ, সাবলীল আর প্রামাণ্যে মোদিত করে ইতিহাসের এই অধ্যায় নিয়ে হাজির হয়েছেন বিশ্বখ্যাত ইতিহাসবিদ ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি। কালান্তরের অনুবাদ উপস্থাপনায় পড়ুন জিনকি সাম্রাজ্যের ইতিহাস, বাংলাভাষী পাঠকের কাছে এতকাল যা ছিল প্রায় অজানা।