ইতিহাসবিদদের অধিকাংশই ইতিহাস বর্ণনা করেই ক্ষান্ত, কিন্তু ড. আলী মুহাম্মাদ সাল্লাবীর ব্যাপারে বললে বলতে হয়, তিনি হচ্ছেন ইতিহাস শিক্ষক! তাঁর কলমের প্রতিটি আঁচর শেখায় ইতিহাস, ধুলো-মলিন ইতিহাসের সেই পাতাগুলো থেকে তিনি তুলে আনতে জানেন অমূল্য সম্পদ, প্রমাণ করে দেখান কীভাবে ১৪শত বছরের ঘটনাগুলো এখনো অনুসরণে সর্বাধিক প্রাধান্য-যোগ্য; তাহলে ভাবুন এমন একজন ইতিহাসবিদের লেখনী থেকে সাহাবাদের জীবনী জানার স্বাদ কেমন হতে পারে? যিনি একবার তার লেখনী পড়েছে, প্রেমে পড়ে গেছে।
.
চার খলিফার একজন, উসমান ইবন আফফান (রদ্বি)। অনেকে এই নাম শুনলে বিলগেটসের মত বিলিয়নিয়ার ট্রিলিওনিয়ার ভাবেন। হ্যাঁ তিনি সেই সময়ের প্রথম সারির ধনীদের একজন ছিলেন। কিন্তু আসলে কি তিনি শুধু ধনী-ই ছিলেন? দুনিয়ার সাথে তার কেমন সম্পর্ক ছিল?
– মৃত্যুর শেষ সময়ে সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা তোমাদেরকে দুনিয়া দান করেছেন, যাতে এর দ্বারা আখিরাত কামনা করতে পারো। তিনি এজন্য দুনিয়া দেননি, চিরদিন তোমরা এখানেই থাকবে। নিশ্চয় দুনিয়া একদিন ধ্বংস হয়ে যাবে। বাকি থেকে যাবে আখিরাত। এই ক্ষণস্থায়ী দুনিয়া যেন তোমাদের ধোঁকায় না ফেলে। আর চিরন্তন আখিরাত থেকে যেন তোমরা গাফেল না থাকো। চিরন্তনকে ক্ষয়মানের ওপর প্রাধান্য দাও। নিশ্চয় দুনিয়া শেষ হয়ে যাবে..’ – এই ছিল সেই সময়ের টপ বিলিয়নিয়ারের ব্যক্তিত্ব, দুনিয়ার সাথে তার সম্পর্ক। তার হাতে দুনিয়া ছিল, কিন্তু অন্তর ছিল দুনিয়াশূন্য। এটাই প্রকৃত যুহুদ। তিনি দুনিয়াকে মন থেকে ছুড়ে মেরেছন, ফলে দুনিয়া তার পায়ে এসে পড়েছে।
.
ড. আলী মুহাম্মাদ সাল্লাবির রচিত উসমান ইবন আফফান রাদ্বি এর জীবনী গ্রন্থ এবার কালান্তর প্রকাশনী থেকে। এক খণ্ডে সমাপ্ত।