আমাদের আর পূর্বসূরীদের মাঝে অন্যতম পার্থক্য হচ্ছে, দুআ। যেখানে আমরা কালেভদ্রে দুআ করি, সেখানে দুআ ছিল তাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। সুদিনে কি দুর্দিনে, হরহামেশা তাদের জিহ্বা ভেজা থাকত দুআয়। দিনের শুরু থেকে দিনান্তে, দুআ কখনও মিস যেত না। রবের সঙ্গে একান্ত আলাপে যে স্বাদ তারা পেতেন, কোনো তুলনা হয় না। দুআ কোনো জাদুমন্ত্র নয় যে, করা মাত্রই চোখধাঁধানো ফল মিলবে। আবার দুআ বিড়বিড় করে পড়া কিছু অবোধ্য শব্দকণাও নয়, যার সাথে যাপিত জীবনের কোনো সম্পর্ক থাকবে না। দুআর কবুলের জন্য কিছু আদবকেতা দরকার, কিছু কৌশল। যেসব কৌশল ব্যবহার করলে তীরন্দাজের তীর লক্ষ্যচ্যুত হবে না। আমাদের পূর্বসূরীরা এগুলো জানতেন। এজন্য তাদের দুআগুলো হতো তাদের মতই ‘মিরাকুলাস’! তাদের সেসব দুআ কবুলের বিস্ময়কর কাহিনীমালা নিয়েই আমাদের আপকামিং বই ‘মিরাকুলাস প্রেয়ারস: দুআ কবুলের আশ্চর্য ঘটনা।’ লেখক খালিদ বিন সুলাইমান আর-রাবয়ী শুরুতে দুআর গুরুত্ব, মর্যাদা ও আনুষঙ্গিক আলোচনা এনেছেন। এরপর প্রবেশ করেছেন মূল বিষয়ে—দুআ কবুলের যত বিস্ময়কর কাহিনি। পূর্ববতী নবি-রাসুল থেকে শুরু করে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, সাহাবায়ে কেরাম ও তাবেয়ীন হয়ে যুগের সিঁড়ি ভেঙে ক্রমশ নেমে এসেছে তার কাহিনির আস্তিন। এভাবে সবশেষে স্থান পেয়েছে লেখকের নিজ দেখা বা শোনা থেকে প্রাপ্ত ঘটনাবলি। আশা করি আল্লাহ তায়ালার কুদরতের মহিমায় ভাস্বর এসব ঘটনা পাঠকের মনে আল্লাহ-ভরসা ও দুআ-মুনাজাতের উদ্দীপনা জাগাবে।