বিপদকে আমরা প্রায়ই ধৈর্য-পরীক্ষা বলে উড়িয়ে দিই। ভাবি এটা নিত্যদিনের অংশ। আসার ছিল তাই এসেছে। এজন্য বিপদের পর বিপদ আমাদের জীবনে আসে, তবুও আমাদের কোনো পরিবর্তন হয় না। প্রশ্ন জাগে না, বিপদটা কি শাস্তি না পুরষ্কার, বিপদের অন্তর্নিহিত কারণগুলোই-বা কী। আসলে জীবনের সব বিপদ শুধু ধৈর্য-পরীক্ষা হয়ে আসে না। কিছু আসে রহমত হয়ে, তাওবার আহ্বান নিয়ে। কিন্তু আমরা বান্দারা সুবিধাবাদী। বিপদের সময় দাঁতে দাঁত চেপে ধরতে প্রস্তুত, তবুও তাওবাহ করে রহমতের ছায়াতলে ফিরে আসতে চাই না। দুঃখ-কষ্টে দুমড়ে মুচড়ে যেতে পারি, তবুও আল্লাহকে কাজে কর্মে প্রমাণ দিতে পারি না, 'আল্লাহ, আমি তোমারই...' নবী ইউনুস (আলাইহিস সালাম)-ও বিপদের সম্মুখীন হয়েছিলেন। কোনো সাধারণ বিপদ নয়, মাছের পেটে বন্দী হবার মতো ভয়াবহ বিপদ। কিন্তু তিনি ভড়কে যান নি। বিপদ দেখে ঠিকই চিনে নিয়েছিলেন তার রবকে। ফলে কাকুতি ভরা এমন একটি মিনতি করেছিলেন, যার পুরোটাই ছিল দাসত্বের চাদরে মুড়ানো। তাওবাহ ও তাওয়াক্কুলে ঘেরা। এমন একটি আলোকিত দুআ, গভীর সমুদ্রের গাঢ় অন্ধকারও যার বাধ সাধতে পারেনি। জল-স্থল ছাড়িয়ে পৌঁছে গিয়েছিল আরশের মালিকের কাছে। সেই দুআরই রহস্য উন্মোচন নিয়ে এই বইটি। বিপদের মুখে দুআ ইউনুস কীভাবে আপনাকে স্থির রাখতে কার্যকরী, কীভাবে রবের প্রিয় হবার সেরা মাধ্যম, সেই পাঠই পাবেন এর পরতে পরতে।