ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলিম সমাজে বেহেশতী জেওর কিতাবটিকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেবার কিছু নেই। এই ভূখণ্ডে এর গ্রহণযোগ্যতা ও সমাদর প্রশ্নাতীত। উলামায়ে কেরাম বলে থাকেন, ‘ফাযায়েলে ইলম শেখার জন্য যেমন রয়েছে শাইখুল হাদীস যাকারিয়া (রহ.)-এর ফাযায়েলে আমল, মাসায়েলে ইলম শেখার জন্য রয়েছে হাকীমুল উম্মত থানবী (রহ.)-এর বেহেশতী জেওর।’একজন মুসলমান, সে নারী হোক বা পুরুষ, তার সমগ্র জীবনে দীন ইসলামকে পূর্ণাঙ্গরূপে বাস্তবায়ন করার জন্য যত বিষয়ের জ্ঞানার্জন করা আবশ্যক, তার সবই হাকীমুল উম্মত এই কিতাবে সন্নিবেশিত করেছেন।এমনকি অনাবশ্যকীয় তবে উপকারী কিছু বিষয়েরও সমাহার ঘটিয়েছেন তিনি এতে। দশখণ্ডে সমাপ্ত বেহেশতী জেওর কিতাবটির শুধু ‘দীনিয়াত’ তথা ঈমান-আকীদা, নামায-রোযা, যাকাত-উশর, অযু-গোসল-তায়াম্মুম, হজ-উমরা, আযান-ইকামত, ব্যবসা-বাণিজ্য, কুরবানী-আকীকা, বিবাহ-তালাক, মাসায়েলে মাইয়েত, মান্নত-কাফফারা, দান-সদকা ইত্যাদি আবশ্যক বিষয়াবলীকে এক মলাটে গ্রন্থিত করা হয়েছে সংক্ষিপ্ত বেহেশতী জেওর শীর্ষক এই অনুবাদগ্রন্থে। সহজবোধ্য, সাবলীল ভাষা এবং সরল বিন্যাসে বিন্যস্ত এই অনুবাদগ্রন্থে কাঙ্ক্ষিত যে কোনো বিষয়ই সহজলভ্য।