‘চেঞ্জ ইউর মাইন্ড’ আমাদের সংগ্রহে রাখা উচিত। দেশীয় ও বৈদেশিক জীবনঘনিষ্ট ঘটনাপ্রবাহকে তিনি মনের মাধুরি মিশিয়ে পাঠকদের কাছে উপস্থাপন করতে সক্ষম হন। এটা তাঁর কৃতিত্ব। তাঁর উদারচিন্তাধারা ও উম্মাহর ভবিষ্যত নিয়ে ভাবনা, মানস গঠনের প্রয়াস গ্রন্থের ছত্রে ছত্রে বিধৃত। মারপ্যাঁচে কথা বলার পথ পরিহার করে তিনি সোজাসাপ্টাকথা বলতে অভ্যস্ত। সমাজদেহের দগদগে ক্ষতগুলোকে সারিয়ে তুলতে তাঁর জবান ও কলমের ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসার্হ। আমরা তাঁর মাঝে একটি প্রতিবাদী মানস সক্রিয় থাকতে দেখি। ভয়কে জয় করে দুরন্ত সাহসে এগিয়ে চলার প্রত্যয় তরুণদের উৎসাহিত ও আলোড়িত করে। হতাশা ও অবসাদ যেন আমাদের পথ আগলে না ধরে। সম্ভাবনার স্ফুলিঙ্গ যেন দুর অজানায় হারিয়ে না যায়। অন্যায় ও পাপাচারের ঘোর অমানিশা কেটে যাবে একদিন, দিগন্তে ফুটে উঠবে নতুন দিনের নতুন সুর্য। মুফতী হাবিবুর রহমান মিছবাহ হাফিজাহুল্লাহ’র লেখায় নবপ্রজন্মকে আশাবাদী করার উপাত্ত-উপাদান আছে। আমি তাঁর সব গ্রন্থের পাঠকপ্রিয়তা কামনা করি এবং দোয়া করি তাঁর মেধাশক্তির সৃজনশীলতায় কওম ও মিল্লাত যেন সত্যের দিশা পায়। আল্লাহ তা'আলা জাযায়ে খায়ের দান করুন, আমীন।