পুরুষ, এক যোদ্ধার নাম। শৈশব থেকে তার যুদ্ধ শুরু; সমাজের সাথে, ভ্রান্তির বিপক্ষে। মাঝে মাঝে যুদ্ধ চলে নিজের সাথেও। তবু হিংস্র চেহারার অগোচরে লুকিয়ে থাকে কোমলতা যা খুবই টের পাওয়া যায়। পুরুষ তো আত্মভোলা, নিজেকে সে ভুলে থাকে। নিজেকে ক্ষয় করে গড়ে তোলে পরিবার, সমাজ ও জাতি। পুরুষদের অন্তর গভীর সমুদ্রের মতো। সকল কষ্ট লুকিয়ে থাকে বুকের গহিনে, আঁধারে। মুখ ফুটে বলে না কখনো। জীবনটা বিলিয়ে দিতেই যেন পুরুষের জন্ম।দ্বীন পুরুষকে সুপুরুষ করে গড়ে তোলে। দ্বীন তাকে শেখায় পবিত্রতা; তা যতটা দেহের ঠিক ততটাই অন্তরেরও। রাগ নিয়ন্ত্রণ, সবর ও নম্রতা, অন্তরের কুপ্রবৃত্তির সাথে আমরণ লড়ে যাওয়া; এসবই উত্তম পুরুষদের জীবনের মূল্যবান সবক। সমাজের পিঠে অশ্লীলতার কশাঘাত; ফলে যিনা-ব্যভিচার এখন সহজ, বিয়ে হয়ে গিয়েছে কঠিন। সাধারণ ঘরের মুসলিম পুরুষদের মাঝে অনেকেই একটা সময় জাহিলিয়াতের ঘোর অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। আল্লাহর ইচ্ছায় অনেকেই ইসলামের ছায়াতলে ফিরে আসে। কিন্তু আগের ভুতুড়ে সেসব স্মৃতি প্রতিনিয়ত হাতছানি দেয়। মাঝে মাঝে বীরেরা হেরে যায় অন্তরের সাথে এক ঠান্ডা যুদ্ধে। রাজ্যের বিষাদ গ্রাস করে তাকে। বিয়েই যেন সমাধান। কিন্তু বিয়ের পর যে এক নতুন জীবনের সাথে সাথে শুরুর হয় নতুন অজানা এক দায়িত্ব, সেটাও তো মাথায় রাখা উচিত।আল্লাহ সুবহানা ওয়া তা’আলা অনুগ্রহশীল, তাই তিনি ভালোবাসেন তাদেরকে যারা অন্যের ওপর এবং নিজের ওপর অনুগ্রহ করে। তারাই তো ‘মুহসিনীন’, বিভ্রাটের দুনিয়ায় উত্তমদের অন্তর্গত।