ইসলামি শরীআতে জুমুআর দিনের অনেক গুরুত্ব রয়েছে। আরবী বার মাসের মধ্যে যেমন রমজান মাসের গুরুত্ব ও ফযীলত অনেক বেশী তেমনিভাবে সপ্তাহের সাত দিনের মধ্যে শুক্রবার তথা জুমুআর দিনের গুরুত্ব ও ফযীলতও প্রচুর। শুধু সাওয়াবের দিক দিয়েই নয় বরং সামাজিক বিচারেও দিনটির অনেক গুরুত্ব রয়েছে। ইসলামে যে পাঁচ ওয়াক্ত নামায জামাআতের সাথে আদায় করা জরুরী করা হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম একটি হেকমত এটিও যে, এলাকার লােকেরা পাঁচ ওয়াক্ত মসজিদে সমবেত হয়ে নিজেদের মতবিনিময় করবে। একে অন্যের খবর নেবে। কুশলাদী বিনিময় করবে। কেউ বিপদগ্রস্থ হলে তাকে সাহায্য করার জন্য সচেষ্ট হবে। | কিন্তু পাঁচ ওয়াক্ত নামাযে যেহেতু এলাকার সকল লােক সমানভাবে অংশ নিতে পারে না, বিভিন্ন কাজ উপলক্ষ্যে অনেককে বাইরেও থাকতে হয়, তাই ইসলাম বিষয়টিকে আরাে ব্যাপক করার জন্য সাপ্তাহিক কর্মসূচী হিসেবে জুমুআর দিনকে বাছাই করে এদিন সকলকে একত্রিত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। যাতে করে দূর দূরান্ত থেকেও লােকজন একত্রিত হয়ে নিজেদের কুশলাদী বিনিময় করতে পারে। সমাজের অবস্থা পর্যালােচনা করতে পারে। কার কি সমস্যা তা নিরুপণ করে সমাধান করার চেষ্টা করতে পারে। বস্তুত এই নেআমত কিন্তু অন্য কোন জাতিকে দেয়া হয়নি।