প্রিয় পাঠক! ইতিহাস সাক্ষী যে, ইহুদি-খৃস্টান জাতি ইসলামের শুরুলগ্ন থেকেই মুসলমানদেরকে পৃথিবীর বুক থেকে চিরতরে খতম করে দেয়ার জন্য উপর্যপরী চেষ্টা-কোশেশ চালিয়ে যাচ্ছে। তারা কোন যুগেই মুসলমানদের বন্ধু ছিল না, হতে পারে না। তাদের শারার’ ও অনিষ্ট থেকে কোন মুসলমান আশংকামুক্ত থাকতে পারে না । আমরা যাই মনে করি, ইহুদি-খৃস্টান জাতি ও তাদের দোসররা রাজনৈতিক ও ধর্মনৈতিক ময়দানে মুসলমানদেরকে নিজেদের বিরােধী ও প্রতিপক্ষ বলেই জানে। মুসলমানদেরকে ধরাপৃষ্ঠ থেকে চিরতরে নিঃশেষ করে দেয়ার জন্য সম্ভাব্য যত পথ ও পন্থা হতে পারে তার কোনটি অবলম্বন করতে তারা কখনাে দ্বিধাবােধ করে না। তাদের কাছে ইসলামের উন্নতি কেমন যেন খৃস্টবাদ আর ইহুদিবাদের অবনতিরই শামিল। তাই ইসলামের সাথে ইহুদি-খৃস্টানদের শত্রুতা দীর্ঘকালের। পৃথিবীর সর্বত্র যখন ছিল খৃস্টান রাজা-বাদশাদের অত্যাচার ও অনাচারের জয়জয়কার এবং শােষণ, নিপীড়ন ও উৎপীড়নের প্রতিযােগিতা, কে কত বেশি জুলুম করে দুনিয়া ভােগ করতে পারে তখন কল্যাণ ও শান্তির ধারকবাহক মুসলিম উম্মাহ পৃথিবীবাসীকে তাদের কবল থেকে মুক্তি দেয়ার জন্য সে সকল যালেম, স্বেচ্ছাচারী ও স্বৈরাচারী খৃস্টান রাজা-বাদশাদেরকে পৃথিবীর বুক থেকে চির বিদায় দিয়ে সর্বত্র ইসলামের শান্তিবাহী পতাকা উড্ডীন করেন। মূলত তখন থেকেই ইহুদী-খৃস্টানরা ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষে টগবগ করতে থাকে এবং বিভিন্ন ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের জাল বুনতে থাকে। কিন্তু বিভিন্ন শক্তিশালী সালতানাতের উপস্থিতি আর মুসলমানদের অব্যাহত অগ্রাভিযানের কারণে মুসলিম বিশ্বের দিকে চোখ তুলে তাকাবারও খৃস্টান বিশ্বের সাহস ছিলাে , আক্রমণ করা তাে দূরের কথা। কিন্তু যখন থেকেই মুসলমানদের আদর্শগত বিচ্যুতি ঘটে তখন থেকেই তারা মুসলিমবিশ্বের দিকে বড় বড় চোখ করে তাকাবার সাহস পায়।