ইমাম আযম আবু হানীফা (রহ.)-এর অমিয় বাণী ১. ইমাম আবু হানীফা (রহ.) বলেন, কোন মাসআলায় যদি রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর হাদীস পাওয়া যায় তাহলে তাে আমরা সানন্দ চিত্তে তা গ্রহণ করে নেই। আর যদি কোন মাসআলার ক্ষেত্রে সাহাবায়ে কেরাম থেকে একাধিক মত পাওয়া যায় তাহলে আমরা সেগুলাের মধ্য হতে একটি মত গ্রহণ করি। তাদের মতগুলােকে সম্পূর্ণ এড়িয়ে যাই তবে যদি তাবেঈনদের (ইমাম আবু হানীফা (রা.)-এর সমসাময়িক উলামায়ে কেরামের] একাধিক মত পাওয়া যায় তা হলে সে ক্ষেত্রে আমরা আমাদের মত ব্যক্ত করি। | ২. ইমাম আবু হানীফা (রহ.) বলেন, কুরআন হাদীস ও সাহাবায়ে কেরাম (রা.)-এর ইজমা’র বিপরীত কোন ব্যক্তির জন্য নিজের মত পেশ করার বৈধতা নেই। হ্যা, যেসব মাসআলার ব্যাপারে সাহাবায়ে কেরামের মাঝে মতানৈক্য রয়েছে সে ক্ষেত্রে আমরা তাঁদের উক্তিগুলাের মধ্য হতে সেই উক্তিটিই গ্রহণ করি যা কুরআন ও হাদীসের অধিক নিকটতর। আর এটাই ইজতেহাদের ক্ষেত্র। - ৩. ইমাম আবু হানীফা (রহ.) বলেন, যদি দীনের ক্ষেত্রে সংকীর্ণতার ভয় না হতাে তাহলে আমি কখনও ফতােয়া দিতাম না। যেসব বিষয়ের কারণে জাহান্নামে যাওয়ার আশংকা হতে পারে সেগুলাের মধ্য হতে সবচে' ভয়ংকর বিষয় হলাে “ফতােয়া।” " ৪. ইমাম আবু হানীফা (রহ.) বলেন, যখন থেকে আমার বুঝ এসেছে, কখনও আমি আল্লাহ তাআলার উপর দুঃসাহসীকতা দেখাইনি। (অর্থাৎ মাসআলা বলে আল্লাহ তাআলা ও তাঁর রাসূলের দিকে নেসবত করিনি।]