পিতৃতুল্য উসতাজ ও উজিরে আজম নিজামুল মুলক তুসির শাহাদাতে জ্বলে উঠেছেন নিশাপুরের ইগল খ্যাত সুলতান মালিকশাহ সেলজুকি। কাজবিনের সবুজ উপত্যকার আলমুত দুর্গ ঘিরে কৃয়গহ্বরের মতোই জট পাকানো ফিতনার গোড়া উপড়ে ফেলতে পাঠিয়ে দেন আরসালান, বাদরান ও বারসাক নামের সিংহত্রয়ীকে। ওরা ছুটে চলছেন বিদ্যুৎগতিতে। টর্নেডো হয়ে আছড়ে পড়তে যাচ্ছেন হাসান ইবনে সাব্বাহর অভয়াশ্রমে। হাসানের নির্দেশে বেরিয়ে আসে কায়া বুজুর্গের নেতৃত্বে হাশিশের নেশায় মালাত ফেদাইনবাহিনী। কিন্তু আরসালানদের ঝড়োগতির হামলায় প্রথমবারের মতো ছুটে যেতে থাকে তাদের হাশিশের নেশা।
জীবনের বৃন্ত থেকে টপাটপ ঝরে পড়তে থাকে দুর্ধর্ষ হিসেবে খ্যাত প্রতিটি ফেদাইন। শেষপর্যন্ত পালিয়ে আশ্রয় নেয় আলমুত দুর্গে। কঠিন অবরোধের ফলে যখন দুর্ভেদ্য আলমুত ঝরে পড়বে পাকা আপেলের মতো, ঠিক সে সময় সংবাদ আসে মালিকশাহ পাড়ি জমিয়েছেন পরপারে। ফলে অবরোধ উঠিয়ে তাঁরা চলে যান নিশাপুরে; আর বেঁচে যায় আলমুত, বেঁচে যায় কৃষ্ণ ফিতনা।
.
এমন টান টান উত্তেজনাময়ী ঘটনাবলির সঙ্গে পাঠককে মাতিয়ে তুলবে আসলাম রাহির কালজয়ী এ উপন্যাস। অতএব, পাঠক ডুব দিতে পারেন সেই উত্তেজনার সমুদ্রে।