গল্প মানেই রসের আধার। গল্পটা কিসের-অতীত না বর্তমানের, সেটা মোটেও মুখ্য থাকে না। গল্পটা বুদ্ধি না সারল্যের-সেটাও কেউ দেখতে চায় না। গল্পের মধ্যে যদি গল্পটা ঠিক থাকে, তবে তাতেই পাঠকের মুখে প্রাপ্তির হাসি ফুটে ওঠে। আর সে গল্পই যখন হয় ইতিহাসের কিছু ঘটনা এবং একই সঙ্গে বুদ্ধিমত্তার অপূর্ব সব নিদর্শন-কখন তো তার স্বাদ ও সুখের আমেজ বহুগুণে বেড়ে যায়। বুদ্ধির গল্প বইটির পাতায় পাতায় গল্পের সেই বর্ধিত আমেজের সন্ধানই পাওয়া গেল। ইতিহাস, বুদ্ধিমত্তা, গল্প ও গদ্যের সমন্বয়ে মুনশিয়ানার সুন্দর একটি উদাহরণ হতে পারে বইটি।
মাওলানা শামীম আহমাদকে ক’বছর ধরে জানি। ব্যক্তি, লেখা এবং অভিব্যক্তির ক্ষেত্রে সতত শ্রম ও ভাবনাশীল অন্তর্মুখী এক যুবক-মনে হয়েচে তাকে আমার। যতদূর জানি-তার কিছু গল্প দেশের সেরা সাহিত্যপত্রিকাতেও ছাপা হয়েছে। তার গল্পে আমি গদ্য, চরিত্র ও মেসেজের জায়গাগুলোাতে এক ধরনের নিরীক্ষা ও পরিণতিশীলতা লক্ষ করেছি। সম্ভাবনার একটি পথের সে এখন অভিযাত্রী। তার সামনে সফল ভবিষ্যতের হাতছানি। বইটির বেশিরভাগ গল্পই মনোযোগ দিয়ে পড়েছি। পাঠক গল্পের মজার সঙ্গে ইতিহাস ও বুদ্ধিমত্তার পাঠ একসঙ্গে পাবেন বলে আমার বিশ্বাস। তাহলে বইটি হাতে নিয়ে নেড়েচেড়ে দেখতে আর বিলম্ব কেন!