রামাদানের আগমনধ্বনি শুনলে একজন মুসলিমের মনে আবেগ আর খুশির জোয়ার বয়ে যাওয়ার কথা ছিলো। কথা ছিলো উৎসাহ আর প্রস্তুতি নিয়ে মুসলিমরা উন্মুখ হয়ে বসে থাকবে। রামাদান চলে যাবে, কিন্তু রামাদানের ঔজ্জ্বল্য আমাদের মাঝে ছাপ রেখে যাবে — তাক্বওয়া।
.
কথা থাকলেও আমরা কথা রাখিনি। যে মাসকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা আর সবক’টা মাসের ওপর মর্যাদা দিয়েছিলেন, সেই মাসকে আমরা যথেষ্ট কদর করিনি। যদি কোনো মাসকে ‘বরণ’ করে নেওয়ার থাকে তবে সেটা রামাদান, বৈশাখ নয়। অর্থহীন নাটুকেপনা আর মেকি বাঙ্গালিত্বের দিনভিত্তিক উদযাপনে মুসলিমরা বিশ্বাস করে না। মুসলিমরা বিশ্বাস করে পবিত্র মাসে, যে মাস তাদেরকে আল্লাহ তাআলার কাছাকাছি আসবার সুযোগ করে দেয়।
.
রামাদান আজ আমাদের কাছে ‘সাওম’ নয়, রামাদান আজ আমাদের কাছে উপবাস — সারাটি দিন না-খেয়ে-কাটিয়ে দেওয়া, আর সন্ধ্যাবেলা পেটপুরে খেয়ে সেটা পুষিয়ে নেওয়া। আমাদের রামাদানে তাই না-খেয়ে-থাকা আছে, ইফতার পার্টি আছে, তারাবীহ আছে, শপিং আছে — কিন্তু যেটা থাকা সবচাইতে জরুরি ছিলো, সেই তাক্বওয়া নেই। রামাদান আমাদের বদলাতে পারেনি, আমরাই রামাদানকে বদলে ফেলেছি। এমন তো কথা ছিলো না।
.
তবে কেমন কথা ছিল? কেমন হতে পারতো রামাদান? কেমন করে আমরা তাক্বওয়া অর্জন করতে পারতাম? কেমন করে রামাদান আমাদের বদলে দিতে পারতো? কেমন করে আনুষ্ঠানিকতার বেড়াজাল ভেঙ্গে রামাদান আমাদের অন্তরে দাগ কাটতে পারতো? আমাদের চরিত্রে প্রভাব রাখতে পারতো? কেমন করে রামাদান হতে পারতো আমাদের বদলে যাবার মাস?
.
এসব নিয়েই শাইখ আহমাদ মুসা জিবরীলের বিখ্যাত লেকচার সিরিজ ‘Gems Of Ramadan’ অবলম্বনে ‘ধূলিমলিন উপহারঃ রামাদান’