ফিলিস্তিনের পাশে আমি-আপনি কিভাবে দাঁড়াতে পারি, তারই কিছু কৌশল এবং পদ্ধতি এই বইয়ে আলোচনা করেছেন ডা. রাগেব সারজানী। কিছু বললে ভুল হবে, প্রায় হাজারখানেক পয়েন্ট তুলে ধরেছেন তিনি। পয়েন্টগুলো পড়তে পড়তে মনে হবে—এই কৌশলগুলো আসলে শুধু ফিলিস্তিন নয়, বরং পৃথিবীর নির্যাতিত প্রতিটি মুসলিম অঞ্চলের মুক্তি-আন্দোলনের জন্যই প্রযোজ্য এবং প্রযুক্ত। কমার্শিয়াল বই নয় এটি; বলতে হবে বিশ্ব মুসলিমের সামনে তুলে ধরা আশার বাণী, চলতি পথের মানচিত্র, চিন্তার দুয়ারে করাঘাত, আমাদের নির্জীব দেহে সৃজনশীলতার প্রাণ-চাষ।
যারা নির্যাতিত মুসলিম উম্মাহর পরিত্রাণ চায়, কালের হাওয়ায় যারা গুঞ্জন তুলতে চায় সত্যের শৃঙ্খল-মুক্তির, তাদের জন্য অবশ্যপাঠ্য বইটি। বিশেষ করে এদেশে যারা ইসলামি আন্দোলন কিংবা রাজনীতিতে সক্রিয়, যারা গণমানুষের ভাগ্য ফেরানো এবং মুক্তি দেবার কথা বলে, এই বই তাদের পথ-নির্মাণের কাজে দারুণ একটি সংবিধান। আইডিয়া ক্রিয়েট এবং পথ ও কৌশল নির্মাণে তাদের বিশেষ সহকারীর ভূমিকা পালন করবে বইটি।
একবসায় পড়ে ফেলার মতো বই নয় এটি। একটু পড়তে হয়, ভাবতে হয়, চারপাশে চোখ মেলে তাকাতে হয়। তখন অসংখ্য স্বপ্ন ও অগুনতি সম্ভাবনা আাশাবাদী করে তুলে আমাদের। উজ্জীবিত করে, উদ্দীপিত করে কর্মতৎপরতার চেতনায়। শুধুই দুঃখবোধ এক ধরণের বিলাসিতা; মুক্তির জন্য মুসলিম উম্মাহকে এই বিলাসিতা পরিত্যাগ করতে হবে। যার যার জায়গা থেকে, যে যতটুকু পারি, উঠে দাঁড়াতে হবে। আমাদের মুখের প্রতিটি শব্দ, পায়ের প্রতিটি পদক্ষেপ, চোখের প্রতিটি দৃষ্টি—হতে হবে কৌশলী, শাণিত, পরিকল্পিত।
বইটি আপনাকে চেতনা দেবে, পথ দেখাবে—উঠে দাঁড়ানোর, ঘুরে দাঁড়ানোর