সকল প্রশংসা মহান রাব্বল আলামীনের জন্য, যিনি সবকিছুর সৃষ্টিকর্তা ও লালন-পালনকারী। সেই সাথে অগণিত ও বেহিসাব দরুদ ও সালাম বর্ষিত হােক তাঁর প্রিয় হাবীব খাতামুন্নাবিইয়ীন মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রূহ মােবারকের উপর এবং এ ধারা চিরকাল প্রবাহমান থাকুক।
হামদ ও ছালাতের পর আমি নাকার মােহাম্মদ আশরাফ আমরহবীর কিছু কথা হল, বক্ষমান কিতাবটির আলােচ্য বিষয় আমার কল্পনা-জল্পনায় উপস্থিত ছিল। তবে জনসাধারণের মাঝে তা প্রকাশ করতে লজ্জাবােধ করছিলাম। কিন্তু জনসাধারণকে এ বিষয়গুলাে জানানাে খুবই প্রয়ােজন অনুভব করি। কেননা, জনসাধারণের জন্য এ বিষয়গুলাে জানা অতিব জরুরি। এই কিতাবখানা পাঠ করলেই বুঝতে পারবেন যে, এ কিতাবখানার প্রয়ােজন কতটুকু। শেষ পর্যন্ত লেখনির মাধ্যমে প্রকাশ করতে ইচ্ছা করলাম। সে হিসেবেই এ বইটি রচনার প্রয়াস।
আজ মহান রাব্বল আলামীনের দরবারে লাখাে শুকরিয়া যে, আমার জন্য খুবই খুশির সংবাদ হা, ইতিপূর্বে আমার লেখা তানহায়ী কি সবক নামক কিতাবটি তিনি কবুল করেছেন। আমি আশাবাদী যে আমার পুশীদাহ রায” কিতাবটিও সকলের নিকট গ্রহণযােগ্য হবে।
আসলে এই কিতাবের আলােচ্য বিষয় এমন গােপনীয় যে, পিতা তার ছেলেমেয়েদের শিখাতে বা বলতে পারেন না, স্বামী তার স্ত্রীকে জানাতে পারে, এমনকি স্ত্রীও আপন চাহিদা স্বামীর কাছে ব্যক্ত করতে পারে না। এসবের একমাত্র কারণ লজ্জা। লজ্জার কারণে কেউ কারাে সাথে এ বিষয়গুলাে বলতে পারে না। এ বিষয়গুলাে সম্পর্কে অনেকেই জানতে ইচ্ছুক, কিন্তু কার কাছে জানবে, কে তাকে জানাবে! এমন লােক খুজে পাওয়া দুস্কর। অবশেষে তারা ধ্বংশের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। আমার এ ক্ষুদ্র প্রয়াস যদি তাদের মধ্যে কারাে সামান্যতম উপকারে আসে, তাহলে নিজের কষ্টকে সার্থক মনে করব। আল্লাহ্ তাআলা আমার এ খেদমতকে কবুল করুন। পাঠকদের প্রতি আমার আর যদি আপনারা এ কিতাব দ্বারা উপকৃত হােন, তাহলে আল্লাহর দরবারে আমার গােনাহ মাফির জন্য দোয়া করবেন। আমীন।