আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারককে (রহঃ) যখন উনার সঙ্গী সাথীরা জিজ্ঞেস করতেন, ‘আপনি আমাদের সাথে সময় না কাটিয়ে একা একা থাকেন কেন?’ তিনি বলতেন, ‘আমি তো সাহাবীদের সাথে থাকি।’ যখন জিজ্ঞেস করা হতো কীভাবে থাকেন, তিনি বলতেন, ‘আমি সাহাবীদের জীবনী পড়ি।’
.
যখন কারো ঈমান দুর্বল হয়ে পড়ে, গুনাহে লিপ্ত হয়ে পড়ে, যখন আল্লাহর ইবাদতে কোন জোস থাকে না তখনও আলিমগণ পূর্বসূরিদের জীবনী অধ্যয়নের কথা বলেন। সাহাবীদের মতো তাবেঈদের জীবনেও ছিল আলোকোজ্জ্বল। সাহাবীগণ ছিলেন নবীজির হাতে গড়া। আর তাবেঈগণ সাহাবীদের হাতে গড়া মানুষ। তারা নবীজিকে দেখেননি, কিন্তু সাহাবীদের পেয়েছেন। নবীজির শিক্ষা সরাসরি সাহাবীদের থেকে নিয়েছেন।
.
তাবেঈদের ঈমানদীপ্ত জীবনী রচনায় যে কজন লেখক প্রসিদ্ধি লাভ করেছেন, তাদের একজন ড. আব্দুর রহমান রাফাত পাশা (রহঃ)। তার লেখার প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সহজ সাবলীল উপস্থাপন, যা তরুণ, যুবক, বৃদ্ধ, সব শ্রেণির পাঠকদের জন্য সহজবোধ্য।