দু’জাহানের সবচেয়ে সুন্দর ও আদর্শ জীবনের আলোচনাই হলো সীরাতসাহিত্য। প্রিয় নবীজীর প্রিয় জীবনী। পৃথিবীর সব ভাষায় এ বিষয়ে কলম ধরে, কাজ করে নবীজীর উম্মতেরা সৌভাগ্যের অধিকারী হয়েছেন। বাংলা ভাষাতেও অনূদিত ও মৌলিক মিলিয়ে অনেক কাজ হয়েছে- আলহামদুলিল্লাহ। এর মধ্যেই কিছু কিছু কাজ বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্যের কারণে পাঠকের দৃষ্টি কেঁড়েছে। মুহাম্মদ আসআদুজ্জামান এমনই একটি সুন্দর ওনন্দিত কাজ করেছেন। আজ থেকে ষোলো-সতেরো বছর আগে যখন তার বয়ষ পঁচিশ ছুঁই তখন এ কাজটি আলোর মুখ দেখেছে। তখনই নবীণ-প্রবীণ সুধী ও বিজ্ঞজনের সপ্রশংসা মনেোযাগ লাভ করেছে। কিশোরপাঠ্য বইটির গদ্য সরল সাদামাটা, মজলিসি গল্পের ভঙ্গিতে তিনি শ্রেষ্ঠতম মানব জীবনের চিত্র একের পর এক এঁকেছেন। এর বড় বৈশিষ্ঠ-সরল বর্ণনার মধ্যেই সীরাতের প্রায় সব ঘটনা ও আচরণেরই উল্লেখ থাকে।
সহজতার প্রতি লক্ষ রেখে ছোট-খাটো অনেক বিষয়ের বর্ণনা এড়িয়ে যাওয়া হয়। এই সীরাত গ্রন্থটিতে তেমন হয়নি। সব বয়সী পাঠকের উপযোগী বললেও ভুল বলা হবে না। জাতীয় সীরাত কমিটি গত শতাব্দীর শেষ দিক থেকে প্রতি বছর মৌলিক-অনূদিত দুটো কিখাড়ে দুটো গ্রন্থকে পুরষ্কার দেওয়ার ধারা চালু করেছিল। মাওলানাা মুহিউদ্দিন খান (রহ.) প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্টানটির এ ধারার কাজ চলেছে বেশ কয়েক বছর। এ বইটি ছিল জাতীয় সীরাত কমিটি থেকে ২০০০ সালের মৌলিক গ্রন্থ বিভাগে পুরষ্কারপ্রাপ্ত। সীরাত বিষয়ে উত্তীর্ণ কাজের জন্য নিঃসন্দেহে এটি একটি বড় সনদ। লেখাক মুহাম্মদ আসআদুজ্জামান বহু দিন যাবত পুণ্যভূমি সৌদি আরবে অবস্থান করছেন। নানাবিধ কারণে বহু চাহিদা থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘদিন ধরে বইটির পুনঃসংষ্করণ প্রকাশ হয়নি। এবার সেটি হলো। এটি অনেক আশা ও আনন্দের খবর। প্রিয় নবীজীর একটি সুপাঠ্য জীবনী।