১. প্রশ্ন : এ ব্যক্তি কে যিনি সুন্দরভাবে অজু করে, কিবলা মুখী হয়ে, তাকবীর বলে নামায শুরু করে দিলেন, তারপরও ফকীহগণের নিকট তার নামায শুরুই হয়নি এবং উক্ত তাকবীর দ্বারা নামায আদায় করার দরুন নামায শুদ্ধ হয়নি বলে ধরা হবে। এটা কেন করে হয়? উত্তর : সে ঐ ব্যক্তি যিনি আশ্চর্য হয়ে অথবা সম্মানার্থে الله اكبر (তাকবীর) বলে নামায শুরু করে দিলেন। তাই তাকে নামায আরম্ভকারীর মধ্যে গণ্য করা হবে না। কেননা নামায শুরু করার জন্য তাকবীরে তাহরীমা শর্ত অন্য তাকবীর হলে চলবে না।
২. প্রশ্ন : সে কোন ব্যক্তি? যে একাকী ফজরের নামায পড়ছে। আর তার উপর তিনবার তাশাহহুদ পড়া জরুরী হয়েছে? উত্তর : সে ঐ ব্যক্তি যার দাঁড়ানো অবস্থায় সন্দেহ জেগেছে যে, এটা কি প্রথম রাকাত নাকি ২য় রাকাত? তাহলে এ ব্যক্তি ১ রাকাতের পর বসবে এবং তাশাহহুদ পাঠ করবে, তারপর দাঁড়িয়ে আবার এক রাকাত আদায় করে তাশাহহুদ পাঠ করে সালাম ফিরাবে এবং সিজদায়ে সাহু করে আবার তাশাহহুদ ও দরুদ শরীফ পাঠ করে সালাম ফিরাবে।
৩. প্রশ্ন : এক ব্যক্তি দুই রাকাত নফল নামাযে ২০টি সিজদা দিলো। তারপরও তার নামায হয়ে গেল, এটা কেমন করে হলো? উত্তর : সে দুই রাকাত নফল নামাযে পূর্ণ কুরআন শরীফ তেলাওয়াত করেছে। ২ রাকাতে ৪টি সিজদা, আর তিলাওয়াতের ১৪টি সিজদা ভুলের দরুন দুই সাহু সিজদা। সবমিলে মোট ২০টি সিজদা হয়েছে। এতে তার নামায হলে গেল।
৪. প্রশ্ন : তিনি কোন ইমাম যার জন্য নামাযে কিয়াম, রুকু, সিজা ইত্যাদি লম্বা করা হারাম? উত্তর : তিনি ঐ ইমাম যিনি মুসল্লিদের রাকাত ও জামাত পাবার জন্য কিয়াম রুকু সিজদা ইত্যাদিতে দেরী করেন।