একদিন থেমে যাবে জীবনের কোলাহল। মায়াবী এই জগৎ ছেড়ে সবাই পাড়ি জমাবে না ফেরার দেশে—জীবনের পরম গন্তব্যের উদ্দেশে। হয় জান্নাত নয় জাহান্নামই হবে ঠিকানা। কত স্পষ্ট কুরআনের ঘোষণা—‘জীবমাত্রই গ্রহণ করবে মৃত্যুর স্বাদ। কিয়ামতের দিন তোমাদের কর্মফল দেয়া হবে পূর্ণমাত্রায়। যাকে দূরে রাখা হবে জাহান্নাম থেকে এবং প্রবেশ করা
যেকোনো মুহূর্তে বিদায়ের ডাক এসে যেতে পারে যে কারোই। তাই আখিরাতের পাথেয় সদা প্রস্তুত রাখতে হয়। কিন্তু পার্থিব জীবনের রূপ-রস-গন্ধে সারাক্ষণ বিভোর হয়ে থাকে মানুষ। দুনিয়ার মোহে পড়ে পরকালের প্রস্তুতির কথা বেমালুম ভুলে যায় তারা। তাই মাঝে মাঝে তাদের মনে করিয়ে দিতে হয় জীবনের পরম পরিণতির কথা। শোনাতে হয় সুখময় জান্নাতের গল্প—সতর্ক করতে হয় জাহান্নামের বিভীষিকাময় অগ্নিকু- থেকে। ‘স্বাগত তোমায় আলোর ভুবনে’ গল্পে গল্পে আপনাদের মনে করিয়ে দেবে আল্লাহর আনুগত্যের কথা—রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ভালোবাসার কথা। অন্তরে জাগিয়ে তুলবে আখিরাতের অতুল স্বপ্ন—জান্নাতের অমিত সম্ভাবনা। চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেবে তুচ্ছ দুনিয়ার অসারতা। গল্পের ভেতর বিচরণ করতে গিয়ে উপলব্ধি করতে পারবেন, আপনার হৃদয়ে বাসা বেঁধেছে আল্লাহর ভয় আর পরকালের প্রস্তুতির দুর্নিবার বাসনা। নো হবে জান্নাতে, সেই সফলকাম। আর পার্থিব জীবন ছলনাময় ভোগ ব্যতীত কিছুই নয়।’ (সুরা আলে ইমরান : ১৮৫)