হামাসের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন শহীদ শেখ আহমাদ ইয়াসিন। তিনি ইজরাইলী সেনাদের মিসাইল হামলায় শাহাদাত বরণ করেন।
হামাসের প্রথম গঠনতন্ত্র রচনা করেন আব্দুল আজীজ রানতিসি। তিনিও ইজরাইলী সেনাদের হাতে শহীদ হন।
আরেকজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন সালিহ শাহাদাহ। তিনি ২০০২ সালে গাজায় ইজরাইলী হামলায় শহীদ হন।
হামাসের প্রথম রাজনৈতিক ব্যুরো প্রধান ছিলেন মুসা আবু মারজুক। ক্যারিয়ার- সংসার সেভাবে করতে পারেননি বহুবছর। আজ এ দেশে তো কাল আরেক দেশে। এভাবেই পার করেছেন জীবনের সোনালী বসন্তগুলো।
হামাসের আলোচিত সাবেক রাজনৈতিক ব্যুরো প্রধান খালিদ মিশাল। জন্ম নিয়েছেন উদ্বাস্তু হয়ে। নিজ দেশের মাটিতে জন্ম নেয়ারও সুযোগ পাননি। সারা জীবন দেশকে স্বাধীন করার জন্য আন্দোলন করে গেলেন। অথচ দেশে পা দেয়ার সুযোগ পেয়েছেন একবার। নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে ফিরে এসে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে গেছেন বছরের পর বছর।
হামাসের বর্তমান প্রধান ইসমাইল হানিয়া। চোখের সামনে একের পর এক সহকর্মীর শাহাদাত দেখেছেন। জনগনের ভোটে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু কাজ করার সুযোগ পেলেন না। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার করেন প্রতিটি মুহুর্ত।
বর্তমানে হামাসের গাজা শাখার প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার। ২২ বছর ইজরাইলের জেলে বন্দী ছিলেন। তরুন অবস্থায় ঢুকেছিলেন। বৃদ্ধ বয়সে বের হয়েছেন। তবুও নিষ্ক্রিয় হননি। বরং দলের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন।
হামাস ফিলিস্তিনকে মুক্ত করার আন্দোলন করছে। মুসলমানদের প্রথম কিবলা বায়তুল মুকাদ্দাসকে মুক্ত করার আন্দোলন করছে। নিজ দেশ আর ইসলামের পবিত্র কিবলাকে মুক্ত করার পথে হামাস নামক সংগঠনটি ত্যাগ, কুরবানি আর শাহাদাতের নাজরানার অনবদ্য ইতিহাস রচনা করেছে।
সেই ইতিহাসের সাক্ষি হতে আলী আহমাদ মাবরুর রচিত ‘হামাস: ফিলিস্তিন মুক্তি আন্দোলনের ভেতর-বাহির’ বইটি হাতে তুলে নিতে পারেন।