প্রিয় নবিজিকে নিয়ে দুনিয়াব্যাপী প্রতিটি মুহূর্তে আলাপ চলমান এবং কিয়ামত পর্যন্ত তা অবিরাম চলতেই থাকবে। নবিজির শানে গান-কবিতার মালা গাঁথা হয়েছে কত শত। নবিজীবনের ছবি আঁকতে কলম রাঙিয়েছে কত হাজার পৃষ্ঠা! তবুও যেন শেষ হয় না তাঁর বর্ণনা। তবুও ফুরোয় না তাঁকে আরও গভীরভাবে জানার আকুতি! তাঁর জীবন-পাতায় পরিভ্রমণের অর্থ—একজন অনুপম চরিত্র ও কোমল হৃদয়ের অধিকারী, শান্তিকামী, অধিকার সচেতন, পরমত সহিষ্ণু, বিশ্বস্ত বন্ধু, সুহৃদ বাবা, সোহাগি ও মনোযোগী স্বামী, স্নেহবৎসল নানা, ধৈর্যের উপমা, প্রেরণার উৎস, ইস্পাতকঠিন দৃঢ়তার অধিকারী, লক্ষ্যজয়ী, সফল সমরনায়ক ও দূরদর্শী নেতার সাথে সাক্ষাৎ করা। তাঁকে পাঠের অর্থ হলো—একটি সার্থক বিপ্লব ও সোনালি সভ্যতার নির্মাণকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখা। তাঁকে খোঁজার অর্থ হলো নিজেকে ভেঙে নববি ছাঁচে নতুন করে গড়ার আকাক্সক্ষা।
সেই আকাক্সক্ষা থেকেই আয়োজিত হয়েছিল বিশ্বে সিরাতগ্রন্থ রচনা প্রতিযোগিতা—১৯৭৬। রাবেতায়ি আলামে ইসলামি কর্তৃক আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় সারা বিশ্বের প্রথিতযশা সিরাতবেত্তাগণ জমা দিয়েছিলেন ১১৮২টি সিরাত গবেষণাকর্ম। বিশ্বে আয়জনের সেই বিশাল সমাহার থেকে দ্বিতীয় স্থান অধিকারী সিরাত গ্রন্থের নাম ‘খাতামুন-নাবিয়্যিন (Muhammad ﷺ The Final Messenger)। সেই অমূল্য রত্নেরই বাংলা অনুবাদ ‘মুহাম্মাদ ﷺ দ্যা ফাইনাল ম্যাসেঞ্জার’।