ফোরাত-দজলা বিধৌত মেসোপটমিয়াতে ছিল আদি ইহুদিদের বসবাস। পরবর্তী সময়ে এদেরই একটা অংশ এসে ঠাঁই নেয় প্যালেস্টাইনে। প্যালেস্টাইন তখন জনশূন্য ভূমি ছিল না। ইহুদিরা সেই ভূখণ্ডের একমাত্র জাতিগোষ্ঠী নয়, আদি বাসিন্দাও নয়। রোমানদের তাড়া খেয়ে তারা ছড়িয়ে পড়ে ভূমধ্যসাগরের আশেপাশে। ইউরোপের খ্রিষ্টানদের হাতে কয়েক দফা গণহত্যার পরও নাটকীয়ভাবে ঘুরে দাঁড়ায় ইসরাইলের সন্তানরা।
আধুনিক ইউরোপের অর্থনীতির ভিত্তি রচিত হয়েছে তাদের হাতেই। তারাই সুদি কারবারের জনক, গড়ে তুলেছে ব্যাংকিং সিস্টেম। তাদের হাতেই বিকশিত হয়েছে পুঁজিবাজারের ধারণা। উনিশ শতকের শেষভাগে রাশিয়াতে দমন-পীড়নের মুখে ইহুদিদের একটা অংশের আশ্রয় হয় প্যালেস্টাইনে। তবে এই ভূখণ্ড অভিমুখে রীতিমতো ইহুদি স্রোত নামে, গত শতকের ত্রিশের দশকের পর।
জায়োনবাদী ইহুদিরা সাধারণ ইহুদিদের বুঝিয়েছে, এটা তাদের ‘প্রমিজ ল্যান্ড’! বিতাড়ন থেকে প্যালেস্টাইনে ফেরা অবধি মাঝখানে কেটে গেছে প্রায় দুই হাজার বছর। এত বছর পরে এসে ইহুদিরা দাবি করছে- প্যালেস্টাইন তাদেরই ভূখণ্ড!
এই দাবি কতখানি সত্য? কতখানি যৌক্তিক? কতখানি ন্যাংসংগত?
এসবের জবাব খুঁজতেই আমরা বিচরণ করতে যাচ্ছি ‘দ্য কিংডম অব আউটসাইডারস’- এ।