পৃথিবীর প্রতিটি মানুষই আলোকিত হতে চায়। কুরআন আলো। ইসলাম আলো। সুতরাং আমরা আলোকিত মানুষ হতে চাই। কিন্তু সেই পন্থাটি কি? যার মাধ্যমে মানুষ আলোর মুখ দেখবে? ইসলামের সূচনালগ্নে মানব ঘোর অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। সভ্যতা সংস্কৃতী বলতে তারা কিছুই বুঝতনা। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারামারি হানাহানি ছিল তাদের নিত্তমৈত্তিক কর্ম। এ সমাজকে অন্ধকার থেকে পরিত্রান দেয়ার জন্য এ ধরায় আগমন করেন মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইবনে আব্দুল্লাহ। তিনি নবুওয়াতে ভূষিত হওয়ার পর পর্যায়ক্রমে তাঁর উপর অবতীর্ণ হয় মানবজাতির জীবন চলার সংবিধান, সত্য-মিথ্যার পার্থক্য নির্ণয়কারী মহাগ্রন্থ আল কুরআন। এ কুরআনের মাধ্যমেই মানূষ অন্ধকার থেকে আলোর পথে ফিরে এসেছে। এ কুরআন মানুষকে দিয়েছে সঠিক পথের দিশা। এ কুরআনই মানবজাতিকে শিক্ষা দিয়েছে ইসলামী সভ্যতা আর সংস্কৃতী ও সঠিকতম দিকনির্দেশনা। আমাদের কর্তব্য হল ব্যক্তি জীবন থেকে নিয়ে রাষ্টীয় জীবন পর্যন্ত প্রতিটি স্থানে কুরআনের নির্দেশ বাস্তবায়ন করা। তাহলেই আমরা আলোকিত মানুষ হতে পারবো। এ দেশকে উপহার দিতে পারবো একটি আলোকিত সমাজ।
প্রিয় পাঠক! মুমিনুল হক মিহাদ আলোকিত হওয়ার সেই গল্পগুলো তুলে ধরেছে পাঠক বোদ্ধাদের সমীপে। একজন অমুসলিম, সেও তার এ বইটি পড়ে নিজেকে আলোকিত করতে মানুষরূপে গড়ে তুলতে পারে, সোনার মানুষ হিসাবে নিজেকে উপস্থিত করতে পারে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআলার সন্নিকটে। আশা করি হৃদয়ের খোরাক পাবেন এ বইটি শুরু থেকে শেষ অবধি অধ্যয়ন করার মাধ্যমে। মহান প্রভুর কাছে সেই কামনাই করছি।