১৯২৫ সালে জাহাজে ক্যাপ্টেনের চাকুরি নিয়ে ইস্তাম্বুলের কাসিম পাশায় বসবাস শুরু করেন এরদোয়ানের পিতা আহমদ এরদোয়ান। ১৯৫৪ সালে ২৬ ফেব্রুয়ারী রবিবার আহমদ এরদোয়ান এবং তানযিলে হালিমা দম্পতির ঘর আলোকিত করে জন্ম নেয় একটি ফুটফুটে শিশু। নাম ‘রেজেপ তায়্যিপ এরদোয়ান।’
এরদোয়ানরা পারিবারিকভাবে খুব একটা স্বচ্ছল ছিলেন না। যখন কলেজে পড়তেন, তখন তিনি রাস্তায় পানি এবং লেবু ফেরী করে বিক্রি করতেন। বিক্রির টাকা থেকে যেমন পরিবারকে সাহায্য করতেন, তেমনি এই টাকা দিয়েই মনের কোণে জমে থাকা একটু সুপ্ত ইচ্ছা ‘ব্যক্তিগত পাঠাগার’ একটু একটু করে গড়ে তুলেছিলেন। এক কিশোর বই পড়ছেন আর নিজেকে নির্মাণ করছেন। নির্মাণ করছেন একটা রাষ্ট্রকে পরিচালনা করে বিশ্ব নেতৃত্বের উপযোগী করে। কৈশোর, যৌবন পাড়ি দিয়ে মধ্য বয়স ৫২’তে এসে তুরস্কের ইতিহাসে এক নতুন নায়ক হিসেবে নিজেক উপস্থাপন করলেন । বলা হচ্ছে, উসমানি সালতানাতের হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার এক মিশনে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন এরদোয়ান। এরদোয়ানকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা আছে তুরস্কে। তুরস্কের সীমানা পেড়িয়ে বিশ্বজুড়ে আছে বিস্ময় আর কৌতুহল। ১৭ কোটি মুসলমানের দেশ বাংলাদেশেও রয়েছে তাকে নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ। কীভাবে এরদোয়ান হয়ে উঠলেন, খাদের কিনারে দাঁড়িয়ে কীভাবে ঘুরে দাঁড়ালেন, কীভাবে বদলে দিলেন তুরস্কের মানুষদের চিন্তাধারা- কৌতূহলী এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে চোখ রাখুন ‘এরদোয়ানঃ দ্যা চেঞ্জ মেকার’ বইয়ে। বইটি পড়ার পরে পাঠক মনে ভাবনারা এসে নতুন করে বসবাস করবে নিশ্চয়।