সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহ তাআলার জন্যে। যিনি নয়নাভিরাম ধরণীর স্রষ্টা ও প্রতিপালক। মালিক যিনি শেষ বিচার দিবসের, যেদিন তিনি পুণ্যের উত্তম প্রতিদান আর পাপের সমুচিত শাস্তির ফয়সালা করবেন। শান্তির অভিরাম বারি বর্ষিত হােক গােটা বিশ্বের প্রতি শান্তির ধারক-বাহক বিশ্বনবি, বিশ্বাবাসীর মুক্তিকামী, দিগদিশারী, মাহবুবে খােদা মুহাম্মদ মুস্তফা কাঃএর পাক রূহের ওপর। মহান রাব্বল আলামিন যিনি বাঁচা-মরা, হাসি-কান্না, আদেশ-নিষেধ, ভাঙ্গাগড়া ইত্যাদি সর্বময় ক্ষমতার একচ্ছত্র অধিপতি। তিনি এই বিশ্ব ও তার অধিবাসীদেরকে বিশেষ উদ্দেশ্যে নির্ধারিত সময়ের জন্য সৃষ্টি করেছেন। যেমন আল্লাহ তাআলার বাণী - কর্মের দিক থেকে তােমাদের মধ্যে কে উত্তম এটা পরীক্ষা করার জন্য তিনি হায়াত-মওতকে সৃষ্টি করেছেন। কালের পরিক্রমায় পরীক্ষা নেওয়া যেদিন শেষ হবে। এই পৃথিবীসহ গােটা বিশ্ব তার নির্ধারিত সময়ে উপনীত হবে। সেদিন গােটা জগৎ ও তার অধিবাসীদের ওপর আপতিত হবে এক মহাপ্রলয়। যে প্রলয়ে আক্রান্ত হয়ে ধ্বংস ও নিঃশেষ হবে আল্লাহ ব্যতীত সবকিছু। এরপর কায়েম হবে ফলাফল দিবস। যে দিন পুণ্যবানকে তার পুণ্যের প্রতিদান হিসেবে দেওয়া হবে চিরশান্তির আবাস জান্নাত। আর পাপীকে তার পাপের যথার্থ শাস্তি হিসেবে দেওয়া হবে চিরযন্ত্রণাদায়ক আবাস জাহান্নাম। কিন্তু সেই নির্ধারিত সময়টি কোন দিন কখন উপস্থিত হবে, তা আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানে না এবং তা কাউকে জানানও হয়নি। কিন্তু তা কবে বা কখন হতে পারে তার কিছু পূর্বাভাস আল্লাহর রাসূল সাল্লার উম্মতের নিকট বর্ণনা করে গেছেন। বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটিতে সেই সব পূর্বাবাসেরই আলােচনা করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ কুরআন ও হাদিস থেকে সংকলিত।