পাশ্চাত্য শিক্ষাকে ভারতবর্ষে আমদানি করার উদ্দেশ্যই ছিল পাশ্চাত্য-দর্শনগুলোকে নেটিভদের মন-মগজে গেঁথে দেওয়া। ইউরোপের একান্ত নিজস্ব অভিজ্ঞতা থেকে ইউরোপ যে শিক্ষা নিয়েছে, সেটাই সারা দুনিয়ার ওপর ‘সত্য’ হিসেবে চাপিয়ে দিয়েছে। যদিও বাকি দুনিয়ার পটভূমি এক্কেবারে আলাদা ছিল ইউরোপের চেয়ে। সুতরাং ‘শিক্ষা’ বলতে আমরা ইউরোপীয় শিক্ষাকে বুঝি। ইউরোপীয় শিক্ষা ছাড়া বাকি যে-কোনো শিক্ষাকে মূর্খতা মনে করি। এবং দুর্ভাগ্যবশত, আমরা ৯৫% মানুষ এই প্রজেক্টের প্রোডাক্ট। কুরআন-হাদীস ও আলিমদের দাওয়াহ বিপরীত একটা জীবন-দর্শনের কথা বলে। এই বৈপরীত্যের দরুণ দ্বীনের কথা আমরা শুনি, কিন্তু আমাদের জীবন ও চিন্তার সাথে কোথায় কোন কথাটা বসবে, সেটা ঠিক ঠাহর করতে পারি না। কেউ একজন যদি ভেঙে ঘুরিয়ে বলে দেয়, তা হলে বুঝে আসে।
এই কাজটাই করেছেন তোয়াহা ভাই। আটপৌরে যে অনুভূতিগুলো মনে ভাসে, এই অনুভূতিগুলো কিন্তু চিরন্তন। ১৪০০ বছর ধরে অনুভূতিগুলো মানুষের একই। কুরআন-হাদীস ও আলিমদের দাওয়াহ কেবল শব্দবন্ধ নির্দেশ-বাক্য নয়, এর পেছনে একটা ভাব আছে, আবেগ আছে। যা প্রকাশ হতে চাচ্ছে, কিন্তু পারছে না ওই মনস্তাত্ত্বিক গ্যাপের কারণে। সেই ভাবটুকু তোয়াহা ভাই যেন পাশে বসিয়ে ধরিয়ে দিচ্ছেন।