জীবনের ধাপগুলো সবার জন্য যেমন জটিল হয়না তেমনি অনেকের জন্য সহজও হয়না খুব। অবহেলা, অন্যায়-অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে কারও কারও জীবন। কেউ বা আবার স্বস্তি খুঁজে ফেরে ভুল পথে, আশা ছেড়ে হতাশার অতল গহ্বরে। সে পথে আদৌ কি স্বস্তি মেলে? জানতে হলে সঙ্গী হতে হবে তিতিনের। পথে পথে ও পরাশ্রয়ে বেড়ে ওঠা ছোট্ট তিতিন! বড়লোক বাবার আলিশান মহল ছেড়ে আসা যে মেয়েটির সঙ্গী ছিলো—ক্ষুধা, অভাব, নিঃসঙ্গতা, নিষ্ঠুরতা। রূঢ় বাস্তবতায় নিষ্পেষিত ছোট্ট তিতিনের কাছে ধাপে ধাপে ধরা দেয় মুখোশে আচ্ছাদিত অধুনা সমাজের আসল রূপ—বীভৎস চেহারা। তার চোখে প্রকট হয়ে ওঠে বিলাসিতায় মোড়া জীবনের অস্বচ্ছতা। সে বুঝতে পারে, এ সভ্য সমাজ তাদের ভেতরের পাশবিকতাকে পোশাকে মুড়িয়ে রাখতে কতটা তৎপর! অন্ধকারাচ্ছন্ন সমাজ তিতিনের কাছে তখন যেন বিভীষিকার নাম। তার মনে হতে থাকে—সে একা, বড়ো একা! শত মানুষের ভীড়ে তার আপন মনে হতে থাকে এক পথ; সে পথ তাকে বারবার হাতছানি দিয়ে ডাকে – আত্মহত্যা! তারপর?
সে এক ইতিহাস! অতীত খুঁড়তে আসা তাওফীকা নামের মধ্যবয়সী নারীর পিছনে ফিরে দেখার ইতিহাস! এ এক জীবনের গল্প! তিতিন-তাওফীকার গল্প! যে গল্পের মধ্য দিয়ে ফুটে উঠেছে সমাজের উঁচু-নিচুর বিভেদ, দ্বীনহীন সমাজে বেড়ে ওঠা অসহায় মেয়ের আত্মপরিচয়-সংকট; ফুটে উঠেছে ‘সুশীল সমাজের’ চিত্র। আসুন সঙ্গী হই তার। তার সাথে খুলে পড়ি এক ইতিহাসের খেরোখাতা।