সন্তান তথা ছেলে-মেয়েরা প্রত্যেক পরিবারের শ্রেষ্ঠ সম্পদ। দেশের সম্পদ। সমগ্র উম্মাহর সম্পদ। ফলে তাদের পড়ালেখা ও আদর্শ জীবন গঠনে প্রত্যেক পিতা-মাতাই উদ্বিগ্ন। প্রত্যেক পিতা-মাতাই ব্যস্ত। তাই তাদের এ প্রতিষ্ঠানে, ঐ প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করাচ্ছেন; এই স্যার নয়, ঐ স্যারের কাছে পড়ালেখার জন্যে দিচ্ছেন। কিন্তু তাতেও ছেলে-মেয়েদের পড়ালেখা ও জীবন গঠনে অনেক পিতা-মাতা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারছেন না। প্রতিটি মুহূর্তই পিতা-মাতাকে দুশ্চিন্তার মধ্যে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে। ছেলের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য পিতার হাতে হাতকড়া লাগানো হচ্ছে, পিতাকে জেল খেটে পুলিশের বেতের আঘাত সহ্য করতে হচ্ছে। সন্তানের হাতে পিতা-মাতাকে খুন হতে হচ্ছে। মেয়ের অনাদর্শিক প্রেমের দরুন পিতা-মাতাকে জীবন দিতে হচ্ছে ইত্যাদি আরও কত কী! সবশেষে ছেলে-মেয়েরা উচ্চ ডিগ্রীধারী হওয়ার পরও পিতা-মাতাকে বৃদ্ধাশ্রমে বা আশ্রয় কেন্দ্রে বা সরকারের বয়স্ককালীন ভাতা নিয়ে দু’মুঠো ভাতের যোগান দিতে হচ্ছে। এখানেই শেষ নয়; আল কুরআন ও আল হাদীস সাক্ষী দিচ্ছে, মৃত্যুর পর পিতা-মাতাকে জবাবদিহির কাঠগড়ায়ও দাঁড়াতে হবে। কিন্তু কেন? কেন এমনটি হবে?? কোথায় রয়েছে পিতা-মাতার ঘাটতি??? কিভাবে ছেলে-মেয়েদের প্রতিপালন করলে বা জীবন গড়ে দিতে পারলে পিতা-মাতারা উল্লিখিত পরিস্থিতি থেকে পাবে মুক্তি, দুনিয়া ও আখিরাতে পাবে সম্মান- সে বিষয়টি নিয়ে গভীর চিন্তা-ভাবনা করে আল কুরআনুল কারীম ও আল হাদীসের ভিত্তিতে সন্তানদের সুশিক্ষা-কুশিক্ষার প্র্যাকটিস ও বাস্তব সমাজচিত্র চোখের সামনে রেখে গবেষণালব্ধ তথ্যের সমাহার ঘটিয়ে রচনা করেছি একটি চমৎকার বই- “প্যারেন্টিং এন ইসলামিক আইজোলজি ফর চিলড্রেন।” বাংলাদেশে এ ধরনের বই এই প্রথম এবং একমাত্র।