এই উম্মতের মাঝে ফিতনাসরূপ এসেছে বেশ কিছু প্রভাবশালী মানুষ। তারা এই উম্মতকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলত। তন্মধ্যে মুসাইলামাহ, আল মুখতার, আব্দুল্লাহ ইবনে মায়মূন, জাসমিন, সাজাহ, মীর্যা গোলাম আহমদ, রশিদ খলিফা, ডঃ ইয়োর্ক, নস্ট্রাডমাস, সামার ভিয়েন মার্শাল প্রমূখ উল্লেখযোগ্য। এদের ফিতনা ছিল ভয়াবহ। এরা সবাই নিজেদেরকে নবী দাবী করত। শেষ নবী মুহম্মদ (সাঃ) – এর উম্মতকে ফিতনায় ফেলার জন্য জনমনে সন্দেহ সৃষ্টি করত। মুমিন বান্দাদের ঈমান হরণ করত। ইতিহাস এদেরকে ঘৃণাভরে স্মরণ রাখবে।
এরকম অনেক ফিতনা গত হয়ে গেছে, অনেক ফিতনা অপেক্ষা করছে। ক্বিয়ামতের আগ পর্যন্ত এই উম্মত ফিতনার সম্মুখীন হতে থাকবে। মানবজাতির ইতিহাসে সবচাইতে ভয়াবহ ফিতনা এখনও আসেনি। কেননা, বাকী সবাই নিজেকে নবী দাবী করলেও, কেউ একজন নিজেকে ‘প্রভু’ দাবী করবে। সে একজন মিথ্যুক, প্রতারক এবং ধোঁকাবাজ। যার ব্যাপারে প্রত্যেক নবী রাসূল (আঃ) তার উম্মতদেরকে সতর্ক করে গেছেন। তার ফিতনা থেকে বেঁচে থাকার ব্যাপারে তাকিদ দিয়েছেন। সে একজন রক্তে মাংসে গড়া মানুষ। একজন তাগড়া যুবক। তার চোখ দুটি ত্রুটিযুক্ত। তার প্রশস্থ ললাটে আরবীতে “কাফির’ লেখা থাকবে। তার থাকবে পেশিবহুল দানবীয় শরীর। বেঁটে প্রকৃতির। ঘাড়টা খানিক কুঁজো। সামনের দিকে ঝুঁকে হেঁটে চলবে। গায়ের রং লালচে। মাথার চুল কোঁকড়ানো থাকবে, দেখে মনে হবে তা যেন কতগুলো গাছের ডাল। ভয়ংকর এই ফিতনার নাম মাসীহ-আদ-দাজ্জাল।
উম্মতের প্রয়োজনে, সময়ের প্রয়োজনে, উম্মতকে সতর্ক করতে, উম্মতের কাছে সত্য ও সঠিক বার্তা পৌঁছে দিতে, এই ভয়াবহ ফিতনা মোকাবেলায় উম্মতের করণীয় কী তা ব্যক্ত করতে – আমাদের এবারের আয়োজন বই, “দাজ্জাল।“ ওয়ামা তৌফিকি ইল্লা বিল্লাহ।
এই বইটিতে গতানুগতিক ধারার বাইরে গিয়ে দাজ্জালের বর্ণনা তুলে ধরা হয়েছে। দাজ্জাল সম্পর্কিত হাদীসের বর্ণনাগুলো বর্তমান যুগের সাথে মিলিয়ে উপস্থাপনার চেষ্টা করা হয়েছে। দাজ্জাল সম্পর্কে ভাসা ভাসা বিশ্বাস, ভ্রান্ত বিশ্বাস, রূপক বিশ্বাস এবং দাজ্জাল অস্বীকারকারীদেরকে রদ্দ করা হয়েছে।
আমাদের বিশ্বাস এই বইটি অধ্যয়ন করলে উম্মত দাজ্জাল সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পাবে। যাবতীয় অস্পষ্টতা, ঘোলাটে বিশ্বাস, রূপক বিশ্বাস, না-বিশ্বাস দূরীভূত হয়ে যাবে ইন শা আল্লাহ্!