ত্রিশ লক্ষ নারীপুরুষ বন্দী কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে। চলছে অমানুষিক নির্যাতন, ধর্ষণ, গণধর্ষণ। শ্রমদাসত্ব। ভাগ্যক্রমে যারা ক্যাম্পের বাইরে রয়ে গেছে তাদের জন্য গড়ে তোলা হয়েছে এক নিশ্ছিদ্র পুলিশি রাষ্ট্র।
সরকারী লাইসেন্স নিয়ে ঘরের ভেতর ঢুকে পড়েছে হান ‘আত্মীয়’। চলছে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার ধর্ষণ। বন্দীদের ওপর চলছে মেডিকেল এক্সপেরিমেন্ট। জোরপূর্বক গর্ভপাত, অর্গান হারভেস্টিং। মানুষের বিকিকিনি…
নামায নিষিদ্ধ। রোযা নিষিদ্ধ। নিষিদ্ধ দাড়ি, হিজাব, আরবি বর্ণমালা। গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে অগণিত মাসজিদ আর কবরস্থান। ঘোষণা দিয়ে বিকৃত করা হচ্ছে কুরআন।
…না। এটা অতীতের কোনো গল্প না। ভবিষ্যতের কোনো কল্পকাহিনী না। আজকের পৃথিবীর কথা। আমাদের বর্তমানের কথা। বিশ্ববিবেক আর মানবতার নীরবতার প্রাচীরের আড়ালে ভয়াবহ গণহত্যা চালাচ্ছে চীন। পূর্ব তুর্কিস্তানের প্রায় আড়াইকোটি উইঘুর-কাযাখ মুসলিমদের ওপর। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার নাৎসিদের চাইতেও অনেক হিসেবী এই গণহত্যার ঘাতকেরা, অনেক তীব্র এই গণহত্যার মাত্রা। অনেক পরিপাটি চীনের এই আগ্রাসন।
পাঠক, একুশ শতকের সবচেয়ে ভয়াবহ গণহত্যার শিকার নির্যাতিত মানুষদের অশ্রু, রক্ত আর জলের রাজ্যে আপনাকে স্বাগতম। আপনাকে স্বাগতম বিশ্বপাড়ার নতুন রংবাজ চীনের আগ্রাসী নিষ্ঠুরতার এক উপাখ্যানে।