এই বই পড়লে যা অর্জন হবে একটি ঘটনা শুনি : আতা ইবনে রাবাহ রহ. এর শারীরিক গঠন মোটেই সুন্দর ছিল। উপরন্তু তিনি ছিলেন পক্ষাঘাতগ্রস্থ। নাক ছিল বাঁকা। একজন মানুষের গঠনে যত অসুন্দর থাকতে পারে সব ছিল আতার অবয়বে। তা সত্ত্বেও ইলম তাকে সর্বোচ্চ মার্যাদায় ভূষিত করেছিলো, তার কাছ থেকে মাসয়ালার সমাধান জানার জন্য তার ঘরের সামনে লোকেরা ভীর করতো। একবার খলিফা সুলাইমান ইবনে আবদুল মালিকও এসেছিে থেকে মাসয়ালার সমাধান জানার জন্য। আতা রহ. খলিফাকে বললেন, আপনি নিজ যায়গায় দাঁড়িয়ে থাকুন। ভীর ঠেলে সামনে এগিয়ে আসবেন না। অথচ তিনি ছিলেন প্রতাপশালী উমাইয়া শাসক। তিনি ছিলেন সন্ত্র মুসলিম জাহানের খলিফা। সেদিন সুলাইমান ইবনে আবদুল মালিকও লোকদের সাথে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তার পালা কাছে মাসয়ালা জানতে চেয়েছিলেন। এই ঘটনার পর খলিফা সুলাইমান তাঁর সন্তানদের বলেছিলেন, তোমরা জ্ঞানার্জনে মনোযোগী হও। কারণ আজ আমি (না জানার কারণে) একজন দাসের (আতা ইবনে রাবাহ বৃহ.) কাছে যত অপমানিত হয়েছি জীবনে কখনো এত অপমানের শিকার হয়নি। ইলমের এই মাহাত্ম্য সম্বন্ধে বিস্তারিত জানার জন্যে প্রত্যেক তালিবে ইলম অন্তত একবার হলেও এই বইটি পড়ুন। ইলম-শিক্ষার প্রতি অনিহা ও অনাগ্রহের এই সময়ে এই বই আপনাকে সত্যিকার তালিবে ইলম রূপে গড়ে উঠতে নিশ্চিত সাহায্য করবে।