আল্লাহ তাআলা মানুষকে সৃষ্টির সেরা ঘোষনা করেছেন। বিবেক বুদ্ধি ভদ্রতা সভ্যতা ও শিষ্টাচারের গুণাবলিতে করেছেন বৈশিষ্ট্যপূর্ণ। ঘৃণা বিদ্বেষ হিংসা অহংকারের মতো মন্দ দিকগুলোর পাশাপাশি দিয়েছেন ভালোবাসা করুণা সহনশীলতা ও অমায়িকতার মতো সুন্দর বৈশিষ্ট্যাবলি। তাই প্রকৃত মানুষ মন্দ কাজ করার পরপরই ভেতরে ভেতরে অনুতপ্ত হয়।
ইবলিস ও নফসে আম্মারার ফাঁদে পা দিয়ে পাপাচারে লিপ্ত হওয়ার পর সেই পাপ থেকে তওবা করে। আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে। তবে কেউ কেউ প্রতিনিয়ত পাপকাজ করার পরও তার মনেই হয় না, সে পাপে লিপ্ত হয়েছে। একজন মানুষ যখন এমন পরিণতিতে পৌঁছে যায় তখন বুঝতে হবে তার ভেতর থেকে মনুষ্যত্ব লোপ পাচ্ছে। আর তখনই তাকে তার সত্তাগত মনুষ্যত্ব ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় শিক্ষা ও দীক্ষা নিতে হয়।
মহান রাব্বুল আলামিন পবিত্র কুরআনকে বানিয়েছেন মানবজাতির মনুষ্যত্ব পরিমাপের মাপকাঠি আর পৃথিবীর সর্বশেষ্ঠ শিক্ষক ও সর্বোৎকৃষ্ট চরিত্রের অধিকারী হজরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বানিয়েছেন কুরআনভিত্তিক জীবনযাপনের প্রকৃষ্ট নমুনা। আল্লাহর বিধান ও নেজাম প্রিয়নবী সা.-এর দেখানো আদর্শ অনুযায়ী মেনে চলতে পারলেই একজন মানুষ নগন্য জীব থেকে শেষ্ঠতর জীবে পরিণত হতে পারে।
বক্ষ্যমাণ ‘মুসলিম ম্যানারস’ গ্রন্থটি কুরআনুল কারিম ও সুন্নাহে নববী অনুযায়ী জীবন গড়ার জন্য সহজ-সরল ও সুন্দরতম পথ দেখাবে বলে আমরা আশাবাদী।