আল কুরআন। মহান আল্লাহ রব্বুল আলামীনের পবিত্র কালাম। মানবতার মুক্তির দূত নবীকুল শিরোমণি মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সবচেয়ে বড় মুজিযা। কিয়ামাত পর্যন্ত অনাগত সকল জিন ও ইনসানের জন্য হিদায়াতের আলোকবর্তিকা। কুরআন এক নিখুঁত-নির্ভুল গ্রন্থ, যার প্রতিটি শব্দে শব্দে হিদায়ত-প্রত্যাশীর জন্য হিদায়াত রয়েছে। ইজ্জত, সম্মান ও মর্যাদার স্বপ্নে বিভোর বান্দার জন্য রয়েছে সাফল্যের হাতছানি। এই কুরআনকে আল্লাহ তাআলা সহজ করেছেন। এর পঠন-পাঠন, ধারণ-বহন ও উপলব্ধিকে তিনি সাবলীল করেছেন। এর ধারক ও বাহক সম্মানের শীর্ষাসনের অধিকারী। দুনিয়া ও আখিরাতের যাবতীয় কল্যাণ ধরা দেবে কেবল তাদেরই করকমলে। তাই কুরআনের ধারক ও বাহককে হতে হবে পূতপবিত্র। হতে হবে কুরআনের রঙে রঙিন। তার কথা, কাজ ও চালচলনই বলে দেবে, লোকটির মাঝে কুরআন আছে। কুরআনের সাথে তার নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। অবশ্য এর জন্য জানতে হবে কুরআনের আদব। পাঠের আদব। পাঠদানের আদব। কুরআনকে বক্ষে নিয়ে জমিনের বুকে চলার আদব। আল কুরআনের ধারক ও বাহকের আদব, আখলাক ও করণীয়-বর্জনীয় নিয়ে লিখেছেন ইমাম মুহিউদ্দীন নববী রহ.। তাঁর প্রজ্ঞাময়, ইখলাসপূর্ণ ও দরদি কলমে ফুটে উঠেছে কুরআনের প্রতি ভালোবাসা। তিনি মুক্তোর পিঠে মুক্তো গেঁথে বুনেছেন সময়ের শ্রেষ্ঠ মালা। লিখেছেন ‘আত তিবইয়ান ফী আদাবি হামালাতিল কুরআন’। যার পরতে পরতে কুরআনের ছাত্র, শিক্ষক, পাঠক ও ধারক-বাহকের জন্য রয়েছে সঠিক পথের দিশা। গ্রন্থটি শুধু কুরআনের সাধারণ পাঠকই নয়; বরং প্রতিটি হিফযুল কুরআন মাদরাসার পাঠ্যসূচির অবিচ্ছেদ্য অংশ হওয়ার দাবি রাখে। যুগ-চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।