আল্লাহ তাআলা যত জায়গায় তাঁর ইবাদতের হুকুম দিয়েছেন, ততো জায়গায় একই সঙ্গে পিতা-মাতার প্রতি সদাচারের হুকুমও দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, আর তোমার রব আদেশ দিয়েছেন যে, তোমরা তাঁকে ছাড়া অন্য কারও ইবাদাত করবে না এবং পিতা-মাতার সাথে সদাচরণ করবে। তাদের একজন অথবা উভয়ে-ই যদি তোমার নিকট বার্ধক্যে উপনীত হয়, তবে তাদেরকে ‘উফ’ বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না। আর তাদের সাথে সম্মানজনক কথা বল। -সূরা বনি ইসরাইল (১৭) : ২৩।
মুফাসসিরগণ বলেন, আল্লাহ তাআলার নির্দেশ বাস্তবায়নের সাথে সাথে পিতা-মাতার অধিকার বাস্তবায়ন করাও অত্যাবশ্যক। বার্ধক্যে—বিশেষত তাদের সামনে ‘উফ’ পর্যন্ত উচ্চারণ করতে নিষেধ করা হয়েছে। তাদেরকে হুমকি-ধমকি দেওয়াও নিষিদ্ধ। বার্ধক্যে তাঁরা দুর্বল, নিস্তেজ ও অসহায় হয়ে পড়েন। বিপরীতে সন্তানগণ হয়ে থাকে সবল ও উপার্জনোক্ষম। তাছাড়া তারুণ্যের উচ্ছলতা ও উন্মত্ত উচ্ছাস আর বার্ধক্যের শীতলতা ও উত্তেজনাপূর্ণ অভিজ্ঞতায় দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। এটি অত্যন্ত নাজুক পর্যায়। তাই ঐ অবস্থায় পিতা-মাতার প্রতি শিষ্টাচার-ভদ্রতা, সম্মান-মর্যাদা প্রদর্শনের প্রতি বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখা এবং সর্বাবস্থায় তাদের খেদমত ও আনুগত্য করা সন্তানদের জন্য বাধ্যতামূলক কর্তব্য। বইটি মা-বাবার গল্পে আঁকা এক অথৈ সমুদ্র। মা-বাবার সাথে ঘটে যাওয়া অনেক ভয়াবহ ঘটনার বিবরণ দেওয়া হয়েছে এই বইয়ের পাতায় পাতায়। পুরো বইয়ে লেখক মনের মাধুরি মিশিয়ে স্মৃতিচারণ করতে করতে অগ্রসর হয়েছেন। জীবন বদলে দেওয়ার মতো খোরাক বপন করে গেছেন। এইসব ঘটনা শুধু পড়ে গেলেও তন্ময়তায় হৃদয় ব্যাকুল হয়ে উঠবে, চিন্তার সাগরে অবগাহন করার অনুভূতি জাগ্রত হবে ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ কবুল করুন! আমীন!