মৃত্যু অবধারিত সত্য; কিন্তু সে বিষয়ে অধিকাংশ মানুষই উদাসীন। আবার কেউ কেউ ভাবেন মৃত্যু এলে বুঝি পৃথিবীর ঝক্কি-ঝামেলা সব শেষ। মৃত্যুর পর মাটিতে মিশে যাবো। ব্যস, আর কোনো ঝামেলা নেই। কোনো জবাবদিহিতা নেই। আর যদি থাকেও তাহলে এ নিয়ে মাথা ঘামানোর কারণ নেই। এটা নিছক একটি অমূলক ধারণা। নিজের প্রতি অবর্ণনীয় জুলুম। কেননা, মৃত্যু পরবর্তী জীবনই হলো আসল জীবন। শাশ^ত জীবন। তাই মৃত্যু ও মৃত্যু পরবর্তী জীবন সম্পর্কে উদাসীন হওয়ার অর্থ হলো নিজেকে হারিয়ে ফেলা। নিজেকে গভীর আঁধারে নিমজ্জিত করে দেওয়া। মর্মন্তুদ ও অশেষ কষ্ট-যাতনার অগ্নিগহ্বরে স্বেচ্ছায় নিজেকে নিক্ষেপ করা।
মৃত্যুপরবর্তী জীবন সম্পর্কে আমাদেরকে গভীরভাবে ভাবতে হবে। প্রস্তুতি নিতে হবে উত্তম পন্থায়। কুরআন ও হাদিসে মৃত্যুর পরের বিষয়গুলো অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে সবিস্তারে তুলে ধরা হয়েছে। মানুষ যখন মারা যায় এবং তাকে কবরস্থ করা হয় তখন তাকে প্রথম যে সমস্যার মুখোমুখী হতে হয়, তা হলো কবরের ফেতনা।
কবর জগতের কথা ভাবতেই কেউ শিউরে উঠে, কেউ আবার শিহরিত হয়। তারপর সবাইকে দাঁড়াতে হবে আলো-অনাবিল কিংবা সূর্যদগ্ধ বিশাল প্রান্তরে-হাশরে। বহু বিষণ্যতার পালা পেরিয়ে অপেক্ষা করতে হতে চূড়ান্ত কুদরতি সিদ্ধান্তের। সেই সিদ্ধান্তনামায় লেখা থাকবে- জান্নাত বা জাহান্নাম। এরকম আরো কতকিছুই যে জানতে হয় একজন মুমিনকে। সেই জানার নন্দিত পাঠশালায় যুক্ত হলো আপনাদের প্রিয় প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ‘দারুল আরকাম’ থেকে প্রকাশিত ‘সালাফদের বর্ণনায় কবর’।