বিজয় হেসে-খেলে আসে না। এলোপাতাড়ি কর্মে বিজয়ের দেখা মেলে না। মাতাল উদ্ভট উটের পিঠে চড়েও বিজয় আসে না। বিজয় এত সহজ ব্যাপার না যে, হাত বাড়ালেই কাছে চলে আসবে!
দুনিয়ার কোটি মানুষ এক সোনালি ভোরের প্রত্যাশায় অপেক্ষমান। মুক্তির সূর্য উঠবে বলে স্বপ্ন বুনছে লাখো-কোটি বনি আদম। কিন্তু কীভাবে আসবে সে ভোর? কারা আনবে সে ভোর?
জাহেলিয়াতের আঁধার কেটে কেটে যারা নতুন সমাজ বিনির্মাণ করবে, তাদের চরিত্র নিঃসন্দেহে অনুপম এবং বিশেষ বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত হওয়া অনিবার্য। তামাম দুনিয়ার বৈরিতা ও শত্রুতা বরদাশত করে যারা নতুন এক দুনিয়া গড়ার কারিগর হতে চায়, তাদের পথটা যে কুসুমাস্তীর্ণ হতে পারে না, তা বুঝতে বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন নেই।
শুধু প্রত্যাশার পারদ উর্ধ্বে তুললেই হবে না; বিপ্লবীদের প্রথমে জানতে হবে, কাজটা আদতে কী। অন্ধকারে ঢিল ছুড়লে তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
আজকের দুনিয়ার অন্যতম শ্রেষ্ঠ আলিম এবং ইসলামি চিন্তাবিদ আল্লামা ইউসুফ আল কারজাভি প্রত্যাশিত বিজয়ী কাফেলার চিত্র এঁকেছেন তাঁর জিলুন নাসরিল মানসুদ গ্রন্থে। মুক্তির আলোকমশাল যারা বয়ে বেড়াবে, কেমন হওয়া উচিত তাদের অবয়ব, লেখক এই গ্রন্থে অনুপম ভাষাশৈলীতে তা তুলে ধরেছেন।