আল আকসা। আল্লাহ তাআলার সম্মানিত ঘর। নবিগণের ইবাদতধন্য এবং স্মৃতিবিজড়িত ঐতিহাসিক স্থাপনা। ইসলামি ঐতিহ্যের স্মারক। মুসলমানদের প্রথম কিবলা। সেই আকসা আজ কাতরস্বরে কাঁদছে। ইহুদিরা আকসাকে ধ্বংস করে সেখানে সুলায়মানি কাঠামো নির্মাণ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রস্তুতি নিচ্ছে তাদের কল্পিত মুক্তিদূত দাজ্জালের আগমনের। আল আকসার বিনাশ এবং সুলায়মানি কাঠামোর বিনির্মাণ যার প্রস্তুতিরই অংশ। তারা সগর্বে এর জন্য প্রশিক্ষণ নিচ্ছে, নিয়মতান্ত্রিক মহড়া দিচ্ছে।
আল আকসা আজ মুসলমানদের হাতছাড়া হওয়ার পথে। অথচ এই আল আকসার সঙ্গেই মুসলমানদের ভাগ্য জড়িত। শেষ জামানায় একে কেন্দ্র করেই ঘটবে বড় বড় অনেকগুলো ঘটনা। শেষাবধি খিলাফাতের পতাকাও স্থাপিত হবে এই ‘ইলিয়া’ অঞ্চলেই।
ফিলিস্তিনিরা নিজেদের প্রাণের বিনিময়ে এই পবিত্র ঘরকে রক্ষা করতে চেষ্টা করছে। তাই তারা ইটের জবাবে পাটকেল এবং বুলেটের জবাবে পাথর-গুলতি হাতেই সম্মিলিত প্রতিরোধের ধারা অব্যাহত রেখেছে।
এদিকে মুসলমানরা আজ আরাম-আয়েশে বিভোর। খোদ হারামাইনই আজ হুমকির মুখে। সারাবিশ্বের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্রগুলোর নেতৃত্বের আসনে চেপে আছে কুফফার গোষ্ঠীর ক্রীড়নকরা—খোদ তাগুত কিংবা তাগুতের দোসররা। তাদের অবাধ প্রচার-প্রচারণায় সিংহের জাতি মুসলিমদের চেতনা মিইয়ে গিয়ে পরিণত হয়েছে ভীতু শেয়ালে।
‘আকসার কান্না’ বইয়ে উঠে এসেছে বাইতুল মাকদিস এবং ফিলিস্তিনের ইতিহাস। উঠে এসেছে ইহুদিদের ভয়াবহ পরিকল্পনাগুলোর কথা; মুসলিম জাতির নেতৃত্বশূন্য অবস্থা এবং চরম হতভাগ্যের কথা। একটি বই যেন একটি ছোটখাটো এনসাইক্লোপিডিয়া। সচেতন-অচেতন প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফিতনার এই যুগে এ বইটি অবশ্যপাঠ্য হওয়ার দাবি রাখে। আশা করি, বইটি মুসলিম তরুণ-যুবাদের আলস্যের চাদর ছুড়ে, নিদ্রার আড়মোড় ভেঙে পুনরায় জেগে উঠতে অনুপ্রাণিত করবে। পর্দার আড়াল সরিয়ে চোখের সামনে তুলে ধরবে শিহরণজাগানিয়া সব অধ্যায়।