বর্তমান যুগকে ‘বিজ্ঞানের যুগ’ বলা হয়ে থাকে। ‘বিজ্ঞানের যুগ’ বলেই হয়তো দেশের আনাচে কানাচে ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে ওঠছে শত শত বিজ্ঞানলেখক এবং বিজ্ঞানবাজ সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপ। এরা বিজ্ঞানের নামে যা গেলাচ্ছে, তা যতটা না বিজ্ঞান, তার চেয়ে বেশি কলাবিজ্ঞান। এদের বিজ্ঞান বুঝা আর পশ্চিমা একাডেমিক বিজ্ঞানী-দার্শনিকদের বিজ্ঞান বুঝার মাঝে আসমান-জমিন ফারাক। বিজ্ঞানের নামে অপবিজ্ঞান শেখানোর কূট-কৌশল নিয়েছে তারা।
এরা ইসলামকে বিজ্ঞানের মুখোমুখি দাঁড় করায়। বলে, বিজ্ঞান আর ইসলাম নাকি সাংঘর্ষিক। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সুন্নাহ কে অবৈজ্ঞানিক বলে অবজ্ঞা করে। ১৪০০ বছর পূর্বের জীবনবিধান নাকি এই ‘আধুনিক’ যুগে চলবে না। অথচ ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ এবং চির-আধুনিক জীবনবিধান। ইসলাম হচ্ছে সবচেয়ে বেশি বিজ্ঞানসম্মত দ্বীন। আজকের বিজ্ঞানের জন্মের শত শত বছর পূর্বেই আমাদের রব তাঁর প্রিয়তম রাসূলের মাধ্যমে আমাদের সর্বাধুনিক বিজ্ঞান শিখিয়ে দিয়েছেন। আর তা হলো ইসলাম।
‘কাঠগড়া’ বইটিতে লেখক চিকিৎসাবিদ্যা এবং গণিত শাস্ত্রে মুসলিমদের অবদান এবং তৎসংশ্লিষ্ট কয়েকটি সুন্নাহ’র মু’জিযা আলোচনা করেছেন। আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের হুকুমের মাঝেই যে দুনিয়া-আখিরাতের কল্যাণ রয়েছে লেখক তার লেখায় বারবার এটাই ফুটিয়ে তুলেছেন।