এ আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন, এখানে দুনিয়াতে লাঞ্ছনা বলে ইমাম মাহদির আগমন, কুসতুনতুনিয়া বিজয় এবং তাদের ও তাদের পরিবার-পরিজনকে বন্দি করাকে বোঝানো হয়েছে।
ইমাম কুরতুবি রহ. হজরত কাতাদা রহ. থেকে বর্ণনা করেন, উপর্যুক্ত আয়াতে দুনিয়ার লাঞ্ছনা দ্বারা উদ্দেশ্য হলো ইমাম মাহদির আগমন, পৃথিবীব্যাপী তার রাজত্ব প্রতিষ্ঠা, আম্বুরিয়া, রুম, কুসতুনতুনিয়াসহ অন্যান্য শহর বিজয়। সেখানকার কাফের ও তাদের পরিবার-পরিজনকে বন্দি করা।
ইমাম শাওকানি রহ. বলেন, ‘পবিত্র কুরআনের ওই আয়াতে তাদের পার্থিব লাঞ্চনার কথা বলে মাহদির আগমন, তার রাজত্ব প্রতিষ্ঠা এবং কুসতুনতুনিয়া বিজয়কে বোঝানো হয়েছে।’
নিয়তের আয়াতের ব্যাখ্যায় মুকাতিল ইবনে সুলায়মান রহ. বলেন,
وَإِنَّهُ لَعِلْمٌ لِلسَّاعَةِ فَلا تَمْتَرُنَّ بِهَا وَاتَّبِعُونِ هَذَا صِرَاطٌ مُسْتَقِيمٌ
‘আর তিনি কিয়ামতের একটি নিশ্চিত নিদর্শন। অতএব তোমরা কিয়ামতকে মোটেও সন্দেহ করো না। তোমরা আমার অনুসরণ করো, আর এটাই হল সিরাতে মুস্তাকিম বা সরল পথ’
এ আয়াতে ‘তিনি’ দ্বারা উদ্দেশ্য ইমাম মাহদি; আল্লাহ তায়ালা যাকে শেষ জমানায় ঈমানদারদের নেতা হিসেবে প্রেরণ করবেন। তার আগমনের পর কিয়ামতের অন্যান্য নিদর্শন প্রকাশিত হবে এবং কিয়ামত সংঘটিত হবে।