মানবজীবনে মৃত্যুকে অস্বীকার করার কোনো অবকাশ নেই। একজন মুমিন অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে এই বিশ্বাস লালন করে যে, মৃত্যুর পর আলমে বরযখ বা কবরজগৎ নামে একটি জগৎ রয়েছে। যেখানে তার তাওহীদ, রিসালাত ও দ্বীন সম্পর্কে প্রশ্ন করা হবে। প্রশ্নের উত্তরের ভিত্তিতেই তার কবরজগতের শান্তি কিংবা শাস্তির ফয়সালা হবে। হাশরের ময়দানে পুনরুত্থানের আগ পর্যন্ত কবরই তার ঠিকানা। বিভিন্ন বর্ণনা থেকে কবর, কবরের বিভিন্ন অবস্থার অকাট্য প্রমাণ পাওয়া যায়। সালাফগণ কবরের কথা মনে পড়লেই শিউরে উঠতেন। দিনমান কবরের প্রস্তুতিতে লেগে থাকতেন। মানুষকে কবরের ভয়াবহতার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে আখিরাতমুখী জীবন গঠনে উদ্বুদ্ধ করতেন। মৃত্যু, জানাযা ও কবর ইত্যাদির স্মরণ ও আলোচনা তাদের মধ্যে ভয়, আতঙ্ক, উদাসীনতা সৃষ্টি করত। দুনিয়াবিমুখ জীবনের প্রতি সাহস জোগাত।
বর্তমান চরম দুনিয়ামুখী জীবনের ব্যস্ততায় আমরা দ্বীনের অন্য অনেক বিষয়ের মতোই কবরের ব্যাপারেও খুব বেশি উদাসীন হয়ে পড়েছি। প্রতিদিন এত এত মৃত্যুর ঘটনা আমাদের খানিকটা ছুঁয়ে গেলেও অন্তরে তার প্রভাব খুবই ক্ষণস্থায়ী। এমন উদাসী অবেলায় মুখলিস সালাফের জবানে ও অভিজ্ঞতায় কবরের আলোচনা হয়তো আমাদের একটু নাড়া দেবে। জাগিয়ে তুলবে। গা-ঝাড়া দিয়ে আখিরাতের প্রস্তুতি গ্রহণে রসদ জোগাবে। এই ভাবনা থেকেই সালাফের চোখে কবর বইটির সংকলন।