গুনাহে আকণ্ঠ নিমজ্জিত আমাদের চারিপাশ। পাপ-পঙ্কিলতার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে এই সমাজ।
পৃৃথিবী যেন ক্লান্ত হয়ে পড়েছে বনী আদমের পাপের ভার বহন করে।
যৌবনের বাঁধভাঙা উগ্রতা যুবক-যুবতীদের পাপের চোরাবালিতে ঘোল খাওয়াচ্ছে। পানি মনে করে মরীচিকার পেছনে ছুটাছুটি করে অবশেষে হতাশ হয়ে জীবনের মানে খুঁজে ফেরা যুবকশ্রেণির সামনে আশার আলো জ্বালানোর মানুষ নেই বললেই চলে। পথহারা উদভ্রান্ত যুবকদের মমতার পরশ বুলিয়ে, দরদভরা আহ্বানে তাদের ঘুমন্ত চেতনায় বারুদ জ্বালানোর কাজ সবার দ্বারা হয় না।
শাইখ খালিদ আর-রাশিদ এই সময়ের হৃদয় প্রলুব্ধকারী একজন দায়ী—এটা নিঃসন্দেহে বলা যায়। তাঁর মাঝে আল্লাহ উম্মাহর দহন-পীড়ন যেন আঁজলা ভরে ঢেলে দিয়েছেন।
পাপাচারের গড্ডলিকাপ্রবাহে ভাসতে থাকা উম্মাহর তরুণ-যুবাদের মনস্তত্ব পড়তে পারেন তিনি। তাঁর লেকচার শুনে অসংখ্য পাপী নিজেকে শুদ্ধ করেছেন হেদায়াতের সফেদ-স্বচ্ছ সরোবরে। জীবন সম্বন্ধে হতাশ যুবক-যুবতী তাঁর বয়ান থেকে খুঁজে পায় জীবনিশক্তি। শাইখের জীবনঘনিষ্ঠ এমনই কিছু লেকচার মলাটবদ্ধ হয়েছে ‘অনুতপ্ত অশ্রু’ নামে।
আমরা আশাবাদী এ প্রয়াস উম্মাহর পথভোলা যুবকদের পথের দিশা পেতে সহায়ক হবে।