আপনি বর্তমান যুগকে বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ও বস্তুগত দৃষ্টিকোণ থেকে অনেক অনেক উন্নত বলতে পারেন; কিন্তু নৈতিকতা, আত্মিক পরিপক্কতায় এবং ঈমানী সম্পদের বিবেচনায় মানবতার জঘন্যতম যুগ এটা। প্রতারণা, শঠতা, ঠকবাজি, ইতরামি, নষ্টামি, কুফর ও নিফাকের যে ঘূর্ণিঝড় আমাদের চারপাশে বয়ে যাচ্ছে তা মানবতার অস্তিত্বই চরম হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। পৃথিবীতে যাদের পাঠানো হয়েছিল আরশ অধিপতির প্রতিনিধিরূপে তাদেরই ফেতনার তাণ্ডবে আজ ভূ-মণ্ডল প্রকম্পিত হচ্ছে। নভোমণ্ডল কেঁপে উঠছে; জল-স্থল, পাহাড়-পর্বত, বন-জঙ্গল, জন্তু-জানোয়ার, পশু-পাখি বৃক্ষ-লতাও যেন বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করছে। মানবতা আজ মুমূর্ষু অবস্থার সম্মুখীন। মানবতার স্পন্দন থেমে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। মরণাপন্ন রোগীর মতো ক্ষণে ক্ষণে অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে। সার্বিক অবস্থা দেখে অন্তর্দৃষ্টিসম্পন্ন ব্যক্তিদের এ ভাবনা প্রবল হয়ে উঠছে যে, সম্ভবত জগৎসংসার গুটানোর সময় ঘনিয়ে আসছে। এই পুস্তিকায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাদিস ভান্ডারের এমন একটি দর্পণ পাঠকের সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে, যাতে এই সময়ের সকল অসঙ্গতির সার্বিক চিত্র ফুটে ওঠবে। আলেম, ইমাম, খতিব, বক্তা, দাঈ. শাসক, জনতা সবার সংশোধনযোগ্য বিষয়গুলো এতে চিত্রিত হয়েছে। কোনো বিশেষ শ্রেণির ভুল ধরার জন্যে এটা সংকলন করা হয়নি। অভিপ্রায় শুধু এতটুকু যে, আমরা প্রত্যেকেই যেন এ আয়নায় নিজেকে দেখে নিয়ে শোধরানোর চেষ্টা করতে পারি। মহান আল্লাহ তাআলা আমাদের তাওফিক দান করুন। আমীন